এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২০ জানুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা গ্যাংয়ের এক মাথা কুখ্যাত দুস্কৃতী জর্দা ওরফে ওয়াজুল শেখ (৩২)। চুরির অভিযোগে ধরা পড়ার পর কয়েকমাস ধরে সে জেলে ছিল । জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ফের পুরনো পেশায় ফিরে যায় সে । সম্প্রতি চুরির অভিযোগে ধরা পড়ার পর কয়েকমাস এক দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় তাকে অনেক দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ । অবশেষে রবিবার কাটোয়ার জ্যোতিপুরের কাছে পুলিশ তাকে পাকড়াও করে । ধরা পড়ে তার এক সাগরেদ তাহিদ শেখও। তাদের কাছ থেকে তিনটি দেশি পাইপগান এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ । আটক করা হয়েছে একটি দামি বাইক। আজ সোমবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা দু’জনকেই দশ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় । বিচারক ধৃতদের সাতদিনের জন্য পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন ।
মুর্শিদাবাদ জেলার কুখ্যাত বেলডাঙ্গা গ্যাং-এর অন্যতম পান্ডা হল ওয়াজুল শেখ । তাদের কাজ হল আশপাশের এলাকায় চুরি করে বেড়ানো । দামি বাইকে চড়ে তারা বিভিন্ন এলাকায় রেইকি করে বেড়ায় । তারপর বাড়ি বা দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে রাতে হানা দিয়ে লুটপাট চালিয়ে চম্পট দেয় । তবে শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলাই নয়,রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই এই প্রকার দুষ্কর্ম করে বেড়াত মুর্শিদাবাদ জেলার কুখ্যাত বেলডাঙ্গা গ্যাংটি । গতবছর কাটোয়া ও কেতুগ্রাম এলাকা মিলে বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় তদন্তে নেমে বেলডাঙ্গা গ্যাংয়ের প্রথম হদিশ পায় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ । গতবছর জুলাই মাসে আসানসোল কমিশনারেট পুলিশের সাথে যৌথ অভিযানে বুদবুদ থানা এলাকা থেকে ওয়াজুল শেখসহ তিন দুস্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছিল কাটোয়া থানার পুলিশ । উদ্ধার হয় চুরি করা কিছু সামগ্রীও । তারপর থেকে জেলবন্দি ছিল ওয়াজুল । কিন্তু সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের পুরনো পেশায় নেমে পড়ে সে ।
গত ২ জানুয়ারি কাটোয়ার কোশিগ্রামে একটি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটায় ওয়াজুল শেখ । সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ঘটনাস্থলের আশেপাশে তার উপস্থিতি নজরে পড়ে পুলিশের । তারপর থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা গ্যাংয়ের ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করে কাটোয়া থানার পুলিশ । শেষ পর্যন্ত রবিবার গভীর রাতে পুলিশ ওয়াজুল ও তার এক সঙ্গী তাহিদকে কাটোয়ার জ্যোতিপুরের কাছে ধরে ফেলে । ব্যাগে রাখা তিনটি দেশি পাইপগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। তারা সেগুলি কোথাও পাচারের পরিকল্পনা করেছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে ৷ বে আইনি অস্ত্র পাচার চক্রের জাল কতদুর বিস্তৃত জানতে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ।।