এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৮ নভেম্বর : যত দিন যাচ্ছে নৃশংস ঘাতক আফতাব আমিন পুনাওয়াল্লা (২৮) সম্পর্কে ভয়ঙ্কর সব তথ্য সামনে আসছে । সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে যে বাম্বল অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গে সে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছিল,সেই অ্যাপের মাধ্যমেই অন্তত আরও ২০ জন মেয়েকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিল আফতাব । ওই সমস্ত মেয়েরা মূলত দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা । আর মেয়েদের ফাঁসাতে সে নতুন সিম ব্যবহার করে ওই অ্যাপে নতুন নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করত ।
শুধু তাইই নয়,নতুন বান্ধবীদের নিজের ঠিকানায় নিয়ে গিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়ত আফতাব । মেহরাউলির যে ফ্ল্যাটে ২৭ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকারকে প্রাণে মারার পর মৃতদেহের ৩৫ টুকরো করে রেফ্রিজারেটরে ভরে রেখেছিল, সেখানেও কয়েকজন বান্ধবীকে এনে ফুর্তি করেছিল আফতাব । এখন আফতাবের ওই সমস্ত বান্ধবীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পুলিশ । পুলিশ বাম্বল অ্যাপ কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়ে আফতাবের বান্ধবীদের সম্পর্কে জানাতে বলেছে বলে জানা গেছে ।
প্রসঙ্গত,মুম্বাইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করতেন শ্রদ্ধা ওয়াকার । বাম্বল ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আফতাব আমিন পুনাওয়াল্লার সঙ্গে তার পরিচয় হয় । তারপর পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে লিভ-ইনে থাকতে শুরু করেন শ্রদ্ধা । কিন্তু তিনি বিয়ের জন্য চাপ দিতেই দিল্লিতে পালিয়ে যায় আফতাব । দিল্লির মেহরাউলির ফ্ল্যাট নেয় সে । পরে সেখানে শ্রদ্ধাকে ডেকে নেয় । শ্রদ্ধা যাওয়ার ১০ দিনের মাথায় তাকে খুন করে আফতাব । প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে ভরে রাখে । ফেলতে যাতে অসুবিধা না হয় সেই কারনে শ্রদ্ধার নাড়িভুড়ি কিমা করে রেখে দেয় । তারপর ১৮ দিন ধরে প্রেমিকার দেহাংশ একে একে সে এলাকার জঙ্গলগুলিতে ছড়িয়ে দিয়ে আসে । এযাবৎ মাত্র ১০ টি দেহাংশ উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ । যে চপারের সাহায্যে আফতাব তার প্রেমিকার দেহ খন্ড খন্ড করেছিল সেটিও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ ।।