এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ নভেম্বর : মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার সাম্প্রদায়িক হিংসাকে “নিন্দনীয় দুষ্টুমি” (Malicious efforts) আখ্যা দিয়ে রবিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলে একটা বড়সড় পোস্ট করা হয় । তাতে বলা হয় যে পূজো কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে । ভাঙচুর ও হিংসার ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এববগ আহত হয়েছে ৬ জন । পাশাপাশি বেলডাঙ্গার ঘটনার প্রচার আটকাতে একটা সতর্কবার্তাও শুনিয়েছে পুলিশ । ওই পোস্টে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে,’শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অযাচাইকৃত তথ্য ও পরিসংখ্যানে অনুগ্রহ করে কর্ণপাত করবেন না। আইন লঙ্ঘনকারীদের পাশাপাশি গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধেও কঠোর সম্ভাব্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজ্য পুলিশের ওই পোস্টকে ট্যাগ করে একজন মুসলিম ব্যক্তির হুমকি দেওয়া ভিডিও শেয়ার করে বিরোধী দলনেতা পুলিশের “নিন্দনীয় দুষ্টুমি”
(Malicious efforts) মন্তব্যকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, ”কিছু নিন্দনীয় দুষ্টুমি’ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত ‘দুই দল’-এর পরিচয় প্রকাশ করার সাহস কি আপনাদের আছে? এছাড়াও, সংঘর্ষ মানে দুই পক্ষের মধ্যে একটি সহিংস সংঘর্ষ, কিন্তু বেলডাঙ্গায় যা ঘটেছিল তা এক পক্ষের উপর অন্য পক্ষের দ্বারা সমন্বিত আক্রমণ হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে । যে একটি সহিংস গোষ্ঠী/দল দাঙ্গা চালিয়েছে, হামলা করেছে, ভাঙচুর করেছে এবং আগুন দিয়েছে; হিন্দুদের বাড়ি ও সম্পত্তি।’
তিনি লিখেছেন,’পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার তাই আপনি দক্ষতার দাবি করছেন যে ‘কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি’, লুট ও অগ্নিসংযোগ এবং সম্পত্তি ধ্বংসের বিষয়ে আপনি কী রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন? মনে হচ্ছে আপনি গুজব ছড়ানোর ব্যাপারে বেশি চিন্তিত, কিন্তু অগ্নিসংযোগকারী, দাঙ্গাবাজ এবং আইন ভঙ্গকারীদের ব্যাপারটা সহজ করে নিচ্ছেন।’
এরপর তিনি লিখেছেন,’কিছু নিন্দনীয় দুষ্টুমি’ অংশে ফিরে আসি। যদি তারা এটি করে থাকে তবে কেউ তাদের রক্ষা করতে চায় না এবং তারা আইন অনুযায়ী উপযুক্ত শাস্তির দাবিদার, দাঙ্গাবাজদের ইচ্ছা এবং কল্পনা অনুসারে নয়। সঠিক তদন্তের আগে ‘কিছু নিন্দনীয় দুষ্টুমি’ অংশ সম্পর্কে প্রচার করবেন না। গত বছর বাংলাদেশে যা ঘটেছিল তা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, যখন শত শত দুর্গাপূজা প্যান্ডেল ভাঙচুর করা হয়েছিল, এমন ‘দুর্বৃত্তান্ত’ জানানোর পরে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন সত্যটি বেরিয়ে আসে, তখন জানা যায় যে এটা ছিল সনাতন সম্প্রদায়কে হেয় করার জন্য একটি ‘দুষ্টুমি’। তাই এখানেও এরকম টেমপ্লেট অনুসরণ করা যেত। কেউ নিশ্চিত হতে পারে না।’
এরপর হিন্দুদের উপর হামলা ও খুনের আহ্বান জানানো শেয়ার করা ব্যক্তির ভিডিও প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য পুলিশের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, ‘এছাড়াও, আপনারা কি এই ‘ভদ্রলোক’কে গ্রেফতার করেছেন যিনি প্রকাশ্যে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর আহ্বান জানাচ্ছেন? এমনকি মানুষ হত্যা করতেও বলছে। আপনি যদি তাকে গ্রেফতার করে থাকেন, তাহলে আমার এই এক্স পোস্টে ফিরে গিয়ে নিশ্চিত করুন।’ যদিও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শুভেন্দুর চিহ্নিত ওই ‘ভদ্রলোকের’ নাম এখনো প্রকাশ্যে আনেনি রাজ্য পুলিশ ।।