এইদিন ওয়েবডেস্ক,বর্ধমান,২১ ফেব্রুয়ারী : তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার প্রায় ৯ মাস পর দিল্লি থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে ধুতরা হলো নুরশেদ শেখ (৩৭) এবং আসরফ শেখ (৪০)। কেতুগ্রামের চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি মিন্টু শেখকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে খুনের ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া হয়ে যায় ওই দু’জন । জানা গেছে, দিল্লি পুলিশের একটি দল আয়া নগরের অর্জান গড় মেট্রো স্টেশনের কাছে ওই দুজনকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে জানালে বৃহস্পতিবার কেতুগ্রাম থানার পুলিশের একটি দল দিল্লি পৌছে যায়। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে এরাজ্যে আনা হচ্ছে ।
কেতুগ্রামের আনখোনা অঞ্চলের ২ নম্বর বুথের দলীয় সভাপতি মিন্টু তাঁর এক বন্ধু মিশির শেখকে বাইকে চাপিয়ে গতবছর ১২ মে সন্ধ্যার দিকে ভোটের প্রচারের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে । তারা বাইক থেকে পড়ে গেলে মিন্টু শেখকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা । বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যান মিশির শেখ। তবে তিনি গুরুতর জখম হন ।
ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তুহিনা খাতুন ১০ জনের বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে একই গ্রামের বাসিন্দা ভুলন শেখ ও সামসুল শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ভুলন শেখ ছিল কেতুগ্রাম থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। জেল হেফাজতে থাকাকালীন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু নুরশেদ শেখ এবং আসরফ শেখ সহ অন্যান্য কয়েকজন ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের সন্ধান চালাচ্ছিল ।
জানা গেছে,বিভিন্ন সূত্র থেকে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ জানতে পারে যে নুরশেদ ও আসরফ দিল্লিতে আত্মগোপন করে আছে । বিষয়টি সম্পর্কে জানতেই দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ । এরপর দিল্লি পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে আয়া নগরের অর্জান গড় মেট্রো স্টেশনের কাছে ওই দুজনকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে বলে জানা গেছে ।।