এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৬ ডিসেম্বর : ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধূলিস্যাত করার দিনটি ‘শৌর্য দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ । পরিষদ ছাড়াও গোটা ভারতের হিন্দুত্ববাদী দলগুলি এই বিশেষ দিনটি মিটিং মিছিল করে উদযাপন করে । এই উপলক্ষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার শ্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । প্রচুর সাধুসন্ত তাতে পা মিলিয়েছিলেন । ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় মুঘল হানাদার বাবরের স্মৃতিতে নির্মিত এই মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়াকে যথপোযুক্ত কাজ বলে বর্ণনা করে বলেছেন,’কোনো আত্মমর্যাদাশীল জাতি হানাদারদের কোনো চিহ্ন রক্ষা করে না ।’
তিনি এনিয়ে এক্স-এ লিখেছেন,’আজ শৌর্য দিবস,এই দিনেই নিরস্ত্র করসেবকরা ভারতের লজ্জাস্থান গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন, অযোধ্যার সেই বিতর্কিত কাঠামো যেটি খুনি বাবরের সেনাপতি মীর বাঙ্কি তৈরি করেছিল । কোনো আত্মমর্যাদাশীল জাতি হানাদারদের কোনো চিহ্নই রেখে দেয় না। সমগ্র পূর্ব ইউরোপ জুড়ে নাৎসি জার্মানি দ্বারা নির্মিত কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছিল, এবং জার্মান নামে পরিবর্তন করা হয়েছিল, যেমন কার্লসবাদ থেকে কার্লোভি ভ্যারি, কোনিগসবার্গ থেকে ক্যালিনিনগ্রাদ। একইভাবে ভারতেও।’
প্রসঙ্গত,রাম জন্মভূমি পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বহু করসেবক উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়েম সিং যাদবের নির্দেশে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু বরণ করেছিলেন । তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কলকাতার দুই ভাই রাম কোঠারি(২২) ও শরদ কোঠারি(২০) । শুভেন্দু অধিকারী নিহত দুই ভাইয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে তাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন,’রাম জন্মভূমি পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী লক্ষ লক্ষ করসেবকদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের অনেকের সাথে উত্তর কলকাতার কোঠারি পরিবারের দুই ভাই; ২২ বছরের রাম কোঠারি ও ২০ বছরের শরদ কোঠারি যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় তৎকালীন মুলায়ম সরকারের পুলিশ তাঁদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। ধর্ম এবং সংস্কৃতির প্রতি অগাধ মর্যাদা, বীরত্ব ও ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দুই ভাইয়ের প্রতি আজকের দিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করি। জয় শ্রী রাম ।’ কলকাতায় এদিনের পদযাত্রায় প্রভু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সহ সমস্ত সন্ন্যাসীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি এবং বাংলাদেশে ও পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ জানান শুভেন্দু অধিকারী ।।