এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,৩১ জুলাই : ইউটিউব চ্যানেলের সাংবাদিক আম্রপালি শর্মা মহারাষ্ট্রের মালাদে বসবাস করেন । মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকায় ফ্লাট রয়েছে তার ৷ কিন্তু ওই পশুপ্রেমী তরুনী সম্প্রতি একটা গরুকে হত্যার হাত থেকে বাঁচানো এবং বেওয়ারিশ পশুদের খাবার দেওয়ার অপরাধে স্থানীয় মুসলিমদের বিষ নজরে পড়েছেন তিনি৷ গত ২৯ জুন থেকে তিনি লাগাতার ভিডিও পোস্ট করে স্থানীয় মুসলিমদের উৎপাতের কথা তিনি জানিয়ে আসছেন । ২৯ জুন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা একটা ভিডিওতে তিনি বলেছিলেন,’আমি ধর্মনিরপেক্ষ তাই আমি মালাদের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় একটি দামি ফ্ল্যাট কিনেছি। এখন আমি বুঝতে পেরেছি যে এখানে হিন্দু হওয়া একটি বড় অপরাধ। আমার উপর এতটাই অত্যাচার করা হচ্ছে যে আমার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে৷ আমাকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করা হচ্ছে৷ একজন হিন্দু আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন । কিন্তু কেউ তার পাশে দাঁড়ায়নি ।’
আম্রপালি শর্মা বলেছেন,’পুলিশকে জানালে বলছে ওটা ওদের এলাকা । কিন্তু ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ । হিন্দু বহুল দেশ । একজন মহিলা কেন শান্তিতে বসবাস করতে পারবে না ?’ তিনি আরও বলেন,’এলাকার কট্টরপন্থী মুসলিমরা চাইছে হিন্দুরা ফ্লাট, দোকান বিক্রি করে এখান থেকে পালিয়ে যাক, যাতে তারা সেগুলি দখল করে নিতে পারে ৷ কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেও । আর এটাই চাইছে ওরা৷’
একদিন আগে একটা ভিডিও পোস্ট করে আম্রপালি শর্মা অভিযোগ করেছিলেন যে তার ফ্লাটের দরজার সামনে কেউ মাংস ফেলে দিয়ে গেছে৷ সেটা গোমাংস কিনা সেটা স্পষ্ট নয়৷ পুলিশের মধ্যেও খতিয়ে দেখার কোনো আগ্রহ ছিল না । এছাড়া আর একদিন তার ফ্লাট ঢোকার রাস্তায় আবর্জনা ফেলার অভিযোগ তোলেন তিনি । আম্রপালি সাহায্যের জন্য মুম্বাই পুলিশকে ট্যাগ করে সাহায্যের জন্য আর্তি জানিয়েছিলেন । কিন্তু পুলিশ এযাবৎ তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ । ফ্লাটের সামনে ফেলে রাখা মাংসের ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন,’আমার বাড়িতে মাংস ও আবর্জনা ফেলা হয়, যখন আমি একটি গরুকে হত্যার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলাম, তখন সমস্ত মুসলিমরা আমাকে রাস্তায় মারতে আসে। আরেকটা কাইরানা, আরেকটা কাশ্মীর, মালভানি, মালাদ।’ ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘এভাকে কি কোনো মানুষ থাকতে পারে ? আমরা এদের মত রক্ত আর আবর্জনা দেখে বড় হইনি । ওরা ছোট থেকে রক্তপাত দেখছে,জন্তুর গলা কাটে, আমরা কখনো কাটিনি ৷ এটা আমাদের পরম্পরা নয় ।’
গতকাল তিনি একটা পোস্টে আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা একটি মিথ কোন মুসলমান ধর্মনিরপেক্ষ নয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য হিন্দু দল ও নেতাদের সাহায্য নিতে হবে ।’
আম্রপালি জানিয়েছেন,ইদানিং তার এক্স হ্যান্ডেলের মেসেজিং সেকশনে নোংরা ভাষায় মন্তব্য করতে শুরু করেছে মুসলিমরা । তার স্ক্রীন শর্টও দিয়েছেন তিনি । তাতে একজন লিখেছে,’ফালতু কি বখবাস মত চো# । তুম কাফির লোগ যাহা রহেতি হো,ফালতু কি হরকত করকে মুসলমানও কি পরেশান করতে হো । তেরে টুইট পড়া হ্যায় ম্যায়নে৷’ আর একজন(@Afg123212001) লিখেছে, ‘হিন্দু রান্ডি’ । সব শেষ একটা পোস্টে তিনি কিছু স্ক্রীন শর্ট ও একটা ভিডিও দিয়ে লিখেছেন, ‘আয়েশা তুর্কি নামে ওই মহিলা, মালভানি ব্রাহ্মার ভাড়াটে, যিনি আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন, আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে আমার ভিডিও ডাউনলোড করেছেন, তার ভয়েস রেকর্ড করেছেন এবং আপলোড করেছেন, সেখানে ৩ টি ভিউ রয়েছে যা তার নিজস্ব এবং মন্তব্যের মতো কিছুই নেই৷ তার রান্নার চ্যানেলের ৪ জন সাবস্ক্রাইবার আছে । ভাই, সে বিখ্যাত হতে চায়।’
আম্রপালি একের পর এক ভিডিও শেয়ার করে গেছেন যাতে এলাকার কট্টরপন্থী মুসলমানদের উপর তার ক্ষোভ উগরে দেন । আম্রপালির প্রশ্ন যে একজন হিন্দু এবং পশুপ্রেমী মহিলার পক্ষে মুসলিম এলাকায় বসবাস করা সত্যিই কি কঠিন? স্থানীয় জনতা তাকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে গেলেও কোনো লাভ হয়না ।।