এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩১ জুলাই : কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সংস্কার করতে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর শুরু করেছে৷ বিহারে এসআইআর এর কাজ শেষ । এবারে পশ্চিমবঙ্গের পালা । এদিকে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন যে ভোটার তালিকা থেকে একটা নামও তিনি বাদ দিতে দেবেন না । এজন্য বোলপুরে প্রশাসনিক সভাতে ব্লক লেভেল অফিসারদের তিনি রীতিমতো হুমকি পর্যন্ত দেন । কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মনে করছেন যে মমতা ব্যানার্জি যতই চেষ্টা করুন এরাজ্যে এসআইআর আটকাতে পারবেন না। চারটে ক্যাটাগরির নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবেই ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে সরাসরি ইলেকশন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করে বিএলওদের ধমকি দিয়েছিলেন । তবে আপনারা জেনে রাখুন যে এক্সটেনশনে থাকা মুখ্যসচিব, স্তাবক মনোজ পন্থকে ১৩ সিসি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই পাঁচ জুলাই নিয়োগকৃত একটাও বিএলও বৈধ কারণ ছাড়া এবং সিও-এর অনুমতি ছাড়া আপনি আইনগতভাবে পরিবর্তন করতে পারেন না । এবং আমার বিশ্বাস যে সেই বার্তা তিনি পেয়েও গেছেন । আমি আশ্বস্ত করছি যে কোন বিএলও মমতা ব্যানার্জি এবং মনোজ পন্থ পরিবর্তন করতে পারবে না ।’
পাশাপাশি তিনি বলেন,’এসআইআর নতুন কিছু নয়৷ ২০০২ হলেও এ রাজ্যে হয়েছে । যার জেরে ২০০৪ সালে ভোটার লিস্ট বেরিয়েছিল এবং ২৬ লক্ষ নাম বাদ চলে গিয়েছিল ।এসআইআর অনুযায়ী চারটে ক্যাটাগরির নাম থাকবে না৷ খালা মমতা যতই চেষ্টা করুন রুখতে পারবেন না । ওই চারটে ক্যাটাগরি হল : মৃত ভোটার, ডবল এনট্রি ভোটার, অস্তিত্বহীন ভোটার এবং রোহিঙ্গা বাংলাদেশী মুসলমান ৷’
তবে কমিশনের নির্দেশ মেনে কাজ করতে গিয়ে ব্লক লেভেল অফিসার বা বিএলএ-রা যে হামলার আশঙ্কা করছেন তা অমূলক নয় বলে মনে করছেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি বলেন,’আমরাও আশঙ্কা করছি । সন্দেশখালিতে ইডি আক্রান্ত হয়েছে । ভূপতিনগরে এনআইএ আক্রান্ত হয়েছে । মমতা ব্যানার্জি নিজেই নিজাম পালেসে সিবিআই অফিসে পাঁচ ঘন্টা ধরনা দিয়েছিলেন । এই রাজ্যে বিধানসভার ভিতরে এমএলএরা আক্রান্ত হয় । জেপি নাড্ডার মত জাতীয় নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আক্রান্ত হয় । বজবজে সুকান্ত মজুমদারের ওপর আক্রমণ ঘটেছে । আর আমাদের কথা ছাড়ুন, কারন আমরা প্রতিদিনই পুলিশের সামনে আক্রান্ত হই ৷’ শুভেন্দু অধিকারী বিএলওদের কাছে অনুরোধ করেন যে তারা যেন নির্বাচন কমিশন কে অনুসরণ করে কাজ শুরু করেন।’
তিনি বলেন,’হরিয়ানা পুলিশ দলে দলে অনুপ্রবেশকারীদের গাড়ি করে এনে বিএসএফের হাত তুলে দিচ্ছে৷ একটু আগে বনগাঁ পেট্রোপলে ২১ জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলমানকে লাথি মেরে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করেছে৷ প্রত্যেকদিন হচ্ছে । রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া উচিত ।’ তবে তিনি জানান,ভারতীয় মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন,পার্সি এবং বাংলাদেশী শরণার্থী হিন্দুদের কোন চিন্তা নেই ।’।

