এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৫ জুলাই : মহাভারতের একলব্য-এর আখ্যানকে নিয়ে নাট্যকার মাসুম রেজার রচিত ‘নিত্যপুরাণ’ ফের মঞ্চস্থ হতে চলেছে বাংলাদেশে । আগামী ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ মঞ্চে শুরু হচ্ছে নাটকটির ১২৭ তম প্রদর্শনী। মাসুম রেজা রচিত ও নির্দেশিত নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মামুন চৌধুরী রিপন, সুষমা সরকার, কামাল আহমেদ, ফিরোজ আলম, আসিফ হাসান, হাফিজ রেদু, কাজী লায়লা বিলকিস, হোসাইন নিরব, মেঘলা মায়া, সালমান লিমন, মাইনুল হাসান মাঈন, সুস্মিতা সাহা, ইসমৎ জেরিন।
নাটকে একলব্য চরিত্রের অভিনেতা মামুন চৌধুরী রিপন বলেন,’নিত্যপুরাণ নাটকটি বাংলাদেশের থিয়েটার ইতিহাসে অসামান্য এক সৃষ্টি। একলব্য চরিত্রটিও যে কোনো অভিনেতার জন্য খুবই লোভনীয় ।’ মামুন চৌধুরী বলেন,’প্রয়াত দিলীপ চক্রবর্তী এই চরিত্রটি যখন করতেন,ওনার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতাম। ভাবতাম, আহা, এই চরিত্রটি যদি আমি করতে পারতাম, তাহলে অভিনয় জগতে আমার চাওয়া- পাওয়ার আর কিছুই থাকতো না । স্বপ্নের সেই চরিত্রে এখন অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি আমি। কতটুকু পারছি সেটি দর্শকই মূল্যায়ন করবেন। তবে চরিত্রটি করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি আমি।’
দ্রৌপদী চরিত্রভিনেতা সুষমা সরকার বলেন, ‘নিত্যপুরাণ নাটকটি আমার খুব পছন্দের। নাটকের প্রতিটি সংলাপ আমাকে আলোড়িত করে। চরিত্রের গাঁথুনি এবং মানুষ যে তার নিয়তিকে খণ্ডাতে পারে না, সেটি দারুণভাবে নাটকটিতে তুলে ধরেছেন মাসুম ভাই ! মহাভারতের একলব্যকে নতুন এক উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দ্রৌপদীর নারী সত্তাকেও দারুণভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।’
নিত্যপুরাণ সম্পর্কে নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘একলব্য আখ্যান মহাভারতের খুবই ছোট একটি বিষয়। কিন্তু একলব্যের এই অতি স্বল্প বর্ণনায় যে অন্তর্নিহিত সত্য ও শক্তি, সেটি মহাভারতের ব্যাপকতাকেও ছাপিয়ে গেছে, এ বোধ আমার একান্ত নিজের।’ মাসুম রেজা বলেন,’মহাভারতের একলব্যকে আমার খুব কাছের মানুষ মনে হয়েছে। মনে হয়েছে এ যেন আমি, এ যেন আমরা, সাধারণ মানুষরা।’ তিনি আরও বলেন,’একলব্যকে আমার দেখতে ইচ্ছে হয়েছে অন্যভাবে, পাণ্ডব কিংবা কৌরবদের চেয়েও কুশলী বীর হিসেবে। আমার রচনা এবং সেটিকে মঞ্চে নাটক হিসেবে দাঁড় করাতে গিয়ে সর্বাত্মকভাবে সেই চেষ্টাই করেছি আমি।’
নিত্যপুরাণের আলোক পরিকল্পনায় রয়েছেন নাসিরুল হক খোকন, আলোক সহযোগী ফারুক খান টিটু, সেট পরিকল্পনা করেছেন কামাল উদ্দিন কবির, সুর ও সংগীত নির্দেশনায় নাসিরউদ্দিন শেখ, প্রপস প্রাণ রায়, রূপসজ্জা পরিকল্পনায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, পোশাক পরিকল্পনায় শাহনেওয়াজ কাকলী, কোরিওগ্রাফিতে রয়েছেন মোহম্মদ আমানুল্লাহ আমান ও বাকার বকুল, আবহ সংগীতে রয়েছে ইমামুর রশিদ খান এবং প্রযোজনা অধিকর্তা এহসানুল আজিজ বাবু।’।