এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাটনা,২৮ নভেম্বর : আগামী বছর লোকসভার নির্বাচন । তার আগে মুসলিমদের ‘তুষ্ট’ করে ভোটব্যাঙ্ক ভরাতে হিন্দুদের ছুটি কমিয়ে মুসলিমদের উৎসবে ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও তেজস্বি যাদব জুটি । হিন্দুদের পবিত্র উৎসব জন্মাষ্টমী, রক্ষাবন্ধন এবং শিবরাত্রির ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে । ছুটি বাড়ানো হয়েছে ঈদ এবং বকরিদের জন্য । এদিকে বিহার সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বিহারের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ও বিজেপি । বিজেপি বিহার সরকারের নিন্দা করেছে এই সিদ্ধান্তকে “তোষামোদের রাজনীতি” বলে অভিহিত করেছে। বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং বিহারকে “ইসলামিক রিপাবলিক অফ বিহার” বলে কটাক্ষ করেছেন ।
রবিবার(২৭ নভেম্বর ২০২৩) বিহার সরকার দ্বারা ঘোষিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৪ সালে রাজ্যের ৬০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে । ঘোষণা অনুযায়ী, ইদে ৩ দিন,বকরিদে ৩ দিন, মহরম ২ দিন, নবী মহম্মদের জন্মদিনে ১ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে । পাশাপাশি গ্রীষ্মের ছুটি ৩০ দিন, হোলি ২ দিন, দুর্গাপূজোর ৩ দিন,ছট পূজা ৩ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে । এছাড়া ক্রিসমাস,গুরু গোবিন্দ সিং জয়ন্তী, সন্ত রবিদাস জয়ন্তী এবং স্বাধীনতা দিবসেসহ আরও কয়েকটি উৎসবের জন্য একদিন করে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ।
বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল কুমার মোদী রাজ্য সরকারের প্রকাশিত এই ছুটির ক্যালেন্ডারের বিরোধিতা করেছেন । তিনি বলেছেন, ‘সামনেই নির্বাচন দেখে বিহার সরকার তোষামোদের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে । এতেই প্রমানিত যে বিহার সরকার হিন্দুদের বিভাজিত করে তাদের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে এবং মুসলিম তোষামোদ করে ভোটে জিততে চাইছে । কিন্তু ক্ষমতাসীন দল ভুল করছে । তাদের এই ধরনের সাম্প্রদায়িক মানসিকতা সফল হবে না । কেউই একে সহ্য করবে না ।’
তিনি আরও বলেন,’রাম-কৃষ্ণ-শিব, বহু সংখ্যক হিন্দু সম্প্রদায়ের পরম পূজ্য আরাধ্য দেবতাদের পূজোর সূযোগ না দিয়ে ওই দিনগুলির ছুটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দিয়ে কি প্রমান করতে চাইছে রাজ্য সরকার? এটা তো সরকারি ভাবে ধর্মীয় বিভাজনের সৃষ্টি করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে । আগেও এই প্রচেষ্টা হয়েছিল,কিন্তু বিরোধিতার কারনে তা ব্যর্থ হয়ে যায় । সরকার যদি পড়াশোনার সময় বাড়াতে এতই আগ্রহী হয়, তাহলে শিক্ষকদের দিয়ে ভোটার লিস্ট তৈরি,জনগননা, মিডডে মিলের কাজ কেন করায় ?’