এইদিন ওয়েবডেস্ক,১৫ জুলাই : ইন্টারন্যাশনাল খ্রিস্টান কনসার্ন (ICC) গত বুধবার নাইজেরিয়ার খ্রিস্টানদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে । প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় দুই দশক ধরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারের দ্রুত অবনতি ঘটেছে। ২০০৯ সালে ইসলামিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে, নাইজেরিয়ার খ্রিস্টান সম্প্রদায় উদ্বেগজনক হারে ইসলামি চরমপন্থী সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে। তারপর থেকে আজ অবধি, ৫০,০০০-এরও বেশি খ্রিস্টানকে ইসলামি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর দ্বারা হত্যা করা হয়েছে — এবং এই গণহত্যার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলির আশ্চর্যজনক নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আইসিসি ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম অ্যাক্টের (আইআরএফএ) অধীনে, ধর্মীয় স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারকে এগিয়ে নেওয়া এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনকারী দেশগুলিকে দায়বদ্ধ করা মার্কিন নীতি। এই সত্ত্বেও, ২০২০ ব্যতীত, মার্কিন বিদেশ দপ্তর নাইজেরিয়াকে ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘনের সাথে জড়িত এবং সহ্য করার জন্য তার বিশেষ উদ্বেগের দেশের (CPC) তালিকায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এই তাৎপর্যপূর্ণ তত্ত্বাবধান শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে মার্কিন বিদেশ নীতির কার্যকারিতাকেই দুর্বল করে না বরং খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার জন্য নাইজেরিয়ান সরকারকে জবাবদিহি করতেও অবহেলা করে বলে অভিযোগ তাদের৷
আইসিসি-এর রিপোর্টে নাইজেরিয়ার ধর্মীয় স্বাধীনতার স্পষ্ট অভাবকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং নাইজেরিয়াকে সিপিসি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মামলা করা হয়েছে । নাইজেরিয়া আইসিসির অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার ম্যাককেনা ওয়েন্ড বলেছেন,’প্রত্যেক মানুষেরই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস স্বাধীনভাবে অনুশীলন করার স্বাভাবিক অধিকার রয়েছে। নাইজেরিয়ার খ্রিস্টানদের জন্য, এই অধিকারটি প্রতিদিন সন্ত্রাসী সহিংসতা এবং জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা হুমকির সম্মুখীন হয়। আমরা স্টেট ডিপার্টমেন্টকে অবিলম্বে নাইজেরিয়াকে একটি সিপিসি হিসাবে মনোনীত করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা আর নাইজেরিয়ান খ্রিস্টানদের চিৎকার উপেক্ষা করতে পারি না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের জন্য তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার সময় এসেছে।।