এইদিন ওয়েবডেস্ক,উদয়পুর,০১ জুলাই : রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়া লালের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে পাকিস্থান যোগের দাবি খারিজ করে দিল জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) । এনআইএ জানিয়েছে,প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে এই হত্যাকাণ্ডে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন নয়, বরঞ্চ সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা সম্পন্ন একটি চক্র জড়িত থাকতে পারে । এতে শুধু দুজন সদস্য নয়, আরও অনেক সদস্য থাকতে পারে বলে এনআইএর আশঙ্কা । এদিকে এনআইএর এই দাবির পর ফের একবার রাজস্থান সরকারের মুসলিম তোষণ নীতি প্রকাশ্যে এল । কারন বিষয়টি সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে চালিয়ে দিয়ে রাজস্থানের মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে পড়া ক্রমবর্ধমান উগ্রবাদী মানসিকতাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠছে ।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বুধবার বলেছিলেন,’উদয়পুরের ঘটনা কোনও ধর্মীয় ঘটনা নয়, একটি সন্ত্রাসবাদী ঘটনা । অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে অপরাধীদের যোগ পাওয়া গেছে । রাজ্য সরকার বিলম্ব না করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেবে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই ধরনের ঘটনার নিন্দা করা উচিত ।’
অন্যদিকে রাজস্থানের ডিজিপি এমএল লাথার একই সুরে জানিয়ে দিয়েছিলেন কানহাইয়া লাল হত্যার ঘটনায় ইউএপিএর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এটি একটি সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসাবে তদন্ত করা হচ্ছে । এমনকি তিনি অভিযুক্ত গাউস মোহাম্মদের সঙ্গে কাদাওয়াত-ই-ইসলামীর সাথে যোগ ছিল বলে দাবি করে জানিয়েছিলেন,এই কারনে সে ২০১৪ সালে পাকিস্থানের করাচিতেও গিয়েছিল । কিন্তু এনআইএ সাফ জানিয়ে দিয়েছে দুই খুনির সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে সম্পর্ক থাকার রিপোর্টটি অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে ৷ ফলে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরেও রাজস্থান সরকার ও তাঁর পুলিশ প্রশাসনের মানসিকতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে ।
এদিকে কানহাইয়া লালের দুই হত্যাকারী রিয়াজ আখতারি এবং গৌস মহম্মদকে দিল্লিতে আনার পরিবর্তে জয়পুরেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনআইএ । উভয় অভিযুক্তকে শুক্রবার (১ জুলাই,২০২২) জয়পুরের বিশেষ এনআইএ আদালতে পেশ করা হবে ।।