এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৮ মার্চ : কর্ণাটকের শিমোগা আইএসআইএস ষড়যন্ত্রের মামলায় দুই বিটেক স্নাতকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) । শিমোগার বাসিন্দা ওই দুই যুবকের নাম মাজ মুনির আহমেদ (২৩) এবং সৈয়দ ইয়াসিন (২২) । চার্জশিটে এনআইএ জানিয়েছে, উভয় যুবকই গুদাম, মদের দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান, যানবাহন এবং একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পত্তি সহ সরকারী এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে নাশকতা ঘটানোর বিষয়ে অনলাইনে বিদেশী ভিত্তিক হ্যান্ডলার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় । মাজ এবং ইয়াসিন ইসলামিক স্টেটের ষড়যন্ত্রকে এগিয়ে নিতে ২৫ টিরও বেশি নাশকতার কাজ করেছে । সৈয়দ ইয়াসিন ট্রেকিং করতে গিয়ে শিমোগা জেলার আগুম্বে এবং ওয়ারাহি নদীর বনাঞ্চলে লুকিয়ে ছিল যেখানে সে বিস্ফোরক সংগ্রহ করে আইইডি তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানিয়েছে এনআইএ ।
এনআইএ আরও জানতে পারে,সৈয়দ ইয়াসিন শিমোগায় ভারাহি নদীর তীরে পরীক্ষামূলকভাবে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ভারতীয় জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছেন ভারত-বিরোধী এজেন্ডা চালানোর জন্য একটি ভিডিও রেকর্ড করে । তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিটে জানিয়েছে, ওই দুই পড়ুয়া অনলাইনে বিদেশের হ্যান্ডলারদের কাছ থেকে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে তহবিল পেয়েছিল । মাজ মুনির আহমেদ দেড় লাখ টাকার সমতুল্য ক্রিপ্টো পেয়েছিল বলে জানতে পারে জাতীয় তদন্তকারী দল ৷ অন্যদিকে সৈয়দ ইয়াসিন এক তার বন্ধুর অ্যাকাউন্টে ৬২,০০০ টাকা জমা করেছিল । এনআইএ জানিয়েছে যে অভিযুক্ত মহম্মদ শারিক একটি আইএস ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে গত বছরের ১৯ নভেম্বর ম্যাঙ্গালোরের কাদরি মন্দিরে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল । কিন্তু টাইমারের ত্রুটির কারণে মাঝখানেই আইইডি বিস্ফোরিত হয়।
এই মামলায় ধৃত দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি,১২১ এ, ১২২, ১৮৬০,১৮ ,১৮ বি, ২০ এবং ৩৮ সহ একাধিক ধারায় একটি চার্জশিট দাখিল করেছে এনআইএ । চার্জশিটে বলা হয়েছে, এই মামলায় মোট ৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং পরবর্তী আরও তদন্ত চলছে ।।