এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৭ এপ্রিল : বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় কলকাতা থেকে মেরাজউদ্দিন আলী খান ও মীর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান নামে দু’জনকে রায়গঞ্জ ও কলকাতা থেকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) । এনআইএ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মেরাজউদ্দিন আলী খানের বাড়ি বোকারোয় । মীর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বীরভূমের বাসিন্দা । গত সোমবার ( ৩ এপ্রিল ২০২৩) টুইটারে ওই দু’জনের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে এনআইএ জানিয়েছে,’২০২২ সালের জুন মাসে পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) একটি টাটা সুমো গাড়ি থেকে ৮১,০০০ বৈদ্যুতিক ডেটোনেটর এবং ২৭,০০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ১,৬২৫ কেজি জেলটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত করেছিল । তখন গাড়ির চালক আশিস কেওড়াকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
পরে এনআইএ-এর হাতে তদন্তভার গেলে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানায় একটি এফআইআর নথিভূক্ত করা হয় । পরে চলতি বছরের জানুয়ারীতে রিন্টু শেখ নামে এক ব্যক্তিকে । এরপর রবিবার (২ এপ্রিল ২০২৩) মেরাজউদ্দিন আলী খান ও মীর মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রায়গঞ্জ ও কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তদন্তে এনআইএ জানতে পেরেছে,রিন্টু শেখকে ২৭,০০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সরবরাহ করেছিল মীর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান । মেরাজউদ্দিন আলী খান বৈদ্যুতিক ডেটোনেটর ও জিলেটিন স্টিক সরবরাহ করেছিল রিন্টু শেখকে ।
জানা গেছে, অভিযুক্তদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ । পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সল্টলেকের সংস্থার দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ।এনআইএ সূত্রে খবর,
রাজারহাট- গোপালপুরে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন বীরভূমের মুরারির বাসিন্দা নুরুজ্জামান। তার শ্বশুর একজন ব্যবসায়ী এবং তার কাছে বিস্ফোরকের লাইসেন্স ছিল, যা পরে নুরুজ্জামানের নামে স্থানান্তরিত হয় । নুরুজ্জামানের আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেন ধৃতের কাছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহের বৈধ লাইসেন্স ছিল । বিচারক তখন জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে অভিযুক্ত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহের লাইসেন্স কাজে লাগিয়ে ডেটোনেটর সরবরাহ করে ? এনআইএ জানিয়েছে,ডিটোনেটর এবং জিলেটিন স্টিক সহ বিস্ফোরক এবং অন্যান্য বোমা তৈরির উপাদানের উৎস ও মজুত করার কারন জানতে আরও তদন্ত চলছে ।।