এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,২৩ অক্টোবর : শ্রীলঙ্কার মানব পাচার মামলায় পলাতক মোহাম্মদ ইমরান খান ওরফে হাজা নাজারবিডেন (৩৯) কে গ্রেপ্তার করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) ট্র্যাকিং টিম (এটিটি) । তামিলনাড়ুর থেনি জেলার একটি অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে ছিল তামিলনাড়ুর রামানাথপুরমের বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতী । সেখান থেকেই তাকে পাকড়াও করা হয় । মোহাম্মদ ইমরান খান পুলিশের খাতায় একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবে চিহ্নিত । মানব পাচার,চোরাকারসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
মানব পাচার মামলায় ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল এনআইএ পাঁচজন ভারতীয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক চার্জশিট দাখিল করে । যারা হল ধিনাকরণ, বিশ্বনাথন, রসুল, সাতাম উশেন এবং আবদুল মুহিতু। এনআইএ জানিয়েছে যে ওই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
ইমরান খান জুনিয়র ২০২১ সাল থেকে পলাতক ছিল । এনআইএ এর ব্যাঙ্গালুরু শাখার এটিটি গত কয়েক মাস ধরে তার গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল । এনআইএ বলেছে যে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে মোহাম্মদ ইমরান খান একজন কুখ্যাত মানব পাচারকারী,যে এই অঞ্চলে অনেক অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত ছিল ।
ইমরান খান এর আগে ইশান নামে একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিকের সাথে যুক্ত হয়ে লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলাম (এলটিটিই) এর সাথে যুক্ত ছিল । ৩৮ জন শ্রীলঙ্কার নাগরিককে তাদের মাতৃভূমি থেকে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন স্থানে পাচার করার পরিকল্পনা করা করেছিল তারা । ইমরান তাদের শ্রীলঙ্কার নাগরিকত্বের বৈধ কাগজপত্র এবং চাকরির সুযোগ দিয়ে কানাডায় অভিবাসনের জন্য প্রলুব্ধ করে । অন্যান্য অভিযুক্তদের সাহায্যে তাকে তার জন্মস্থান থেকে ব্যাঙ্গালোর এবং ম্যাঙ্গালোরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পরে তাদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্ত সংস্থাটি প্রকাশ করেছে যে ইমরান খান আন্তর্জাতিক মানব পাচারের ক্ষেত্রে মূল পান্ডা।।