এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,১১ আগস্ট : ভারতে ঠিক কত সংখ্যায় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বসবাস করছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো প্রকাশ্যে আসেনি । আশঙ্কা করা হচ্ছে কয়েক লক্ষ অনুপ্রবেশকারী ভারতে ঢুকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড এবং অন্যান্য সরকারী পরিচয়পত্র তৈরি করে বহাল তবিয়তে এদেশে বসবাস করছে এবং তারা যথারীতি এদেশের যাবতীয় নাগরিক সুবিধা নিচ্ছে । ফের একবার তার প্রমাণ পাওয়া গেল কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে । সোমবার বেঙ্গালুরু শহরের বেলান্দুরে এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ২৪ জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে ধরেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) । খলিল চাপরাসি, আব্দুল খাদির এবং মহম্মদ জাহিদসহ ওই দলটি ২০১১ সাল থেকে ভারতে বসবাস করছে বলে জানা গেছে । শুধু তাইই নয়,তারা আধার কার্ড, রেশন কার্ড এবং অন্যান্য সরকারী পরিচয়পত্রও তৈরি করে ফেলেছিল । জেরায় তারা কবুল করেছে যে ভারতে আসার জন্য দালালকে মাথা পিছু ২০,০০০ টাকা করে দিয়েছিল । বর্তমানে ধৃতরা বেলান্দুর পুলিশের হেফাজতে রয়েছে । ধৃতদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট এবং পাসপোর্ট আইনের 14 (সি) ও ১৪ (এ) ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে ।
তবে শুধু ব্যাঙ্গালুরুই নয়,সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার হয় ৭৬ জন রোহিঙ্গা । কয়েক মাস আগে মুম্বাইয়ের শিবাজি নগর থানার গোভান্দি শিবাজি নগর এলাকা থেকে শুকুর ইব্রাহিম শেখ নামে এক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ে । ধৃতের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল জেলায় । এছাড়া নাভি মুম্বাই বাইকুল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওয়াসিম মোড়ল, সেলিম আলী, সালমান আশরাফ শেখ নামে ৪ পুরুষ এবং সুলতানা নামে এক মহিলা । তারা মুম্বাইয়ে কাজের সন্ধান চালাচ্ছিল বলে জানতে পেরেছে এনআইএ ।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে । তদন্তকারী দল জানতে পারে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা মুসলিমরা পশ্চিমবঙ্গকে করিডর হিসাবে ব্যবহার করে । তারা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে আধার কার্ড,ভোটার কার্ড জুটিয়ে নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে । হরিয়ানার নুহ জেলার মেওয়াতে জলাভিষেক যাত্রায় হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল কয়েকজন বাংলাদেশি রোহিঙ্গারও । ফলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গারা ভারতের নিরাপত্তার জন্য কতটা বিপজ্জনক তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।।