প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪ সেপ্টেম্বর : রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের নির্দেশক্রমে সোমবারই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য পদে দায়িত্ব গ্রহন করলেন গৌতম চন্দ্র। দায়িত্ব নিয়েই উপাচার্য জানিয়ে দিলেন,র্যাগিং সমস্যা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকট নয় । তবুও র্যাগিংয়ের সমস্যা নিয়ে এখনই তিনি কাজ শুরু করে দিতে চান। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের নামি গবেষক হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে গৌতম বাবুর । তাঁর মত গুণী অধ্যাপকের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়াটাকে ভালভাবেই দেখছেন শিক্ষানুরাগীরা।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছিল বিশ্বজিৎ ঘোষকে। তিনি অবসর নেওয়ায় কার্যত অচলাবস্থা চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সহ উপাচার্য আশীষ পানিগ্রাহী কাজ চালালেও বিধিগত কিছু অসুবিধার জন্য অনেক কাজ আটকে ছিল।
নব নিযুক্ত উপাচার্য গৌতম চন্দ্র এদিন জানান,
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার আটত্রিশ বছরের সম্পর্ক। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এখানকার বত্রিশ বছরের ফ্যাকাল্টি। যাদবপুরের র্যাগিং কাণ্ড যে তাঁকে যথেষ্ট নাড়া দিয়েছে তার ইঙ্গিত এদিন তার কথাতেই মেলে । গৌতম বাবু বলেন,’বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং তত বড় সমস্যা কোনদিনও ছিল না। তবে বিষয়টিকে লঘু করে দেখা হবে না। উপাচার্য না থাকায় অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক হয় নি। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমি সদ্য দায়িত্ব পেয়েছি।সবটা বুঝে নিতে আমার সময় লাগবে’।পাশাপাশি তিনি এও বলেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আলাদা। এখানকার টিম খুব দক্ষ।আমার আশা আর কোনো সমস্যা এখানে থাকবে না।’
দায়িত্ব নেবার সময় সমস্যা থাকবে না বলে উপাচার্য্য যখন আশ্বশ্ত করছেন,তখন বকেয়া মার্কশিটের দাবিতে বাম ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে । তা নিয়ে উপাচার্য বলেন, ’সব সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে ।’।