নূর খান বিমানঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী । সেই হামলার সাথে সম্পর্কিত নতুন তথ্য এখন সামনে আসছে । এটি এতটাই রোমাঞ্চকর যে বিশ্বব্যাপী কৌশলগত পরিস্থিতি বদলে দেবে! নতুন যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা জানলে আপনার হৃদয় কেবল শীতল হবে না, গর্বে আপনার বুক ফুলে উঠবে ।
যখন কোনও দেশ তার সমস্ত শক্তি, কৌশল এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে শত্রুর সবচেয়ে নিরাপদ, সবচেয়ে গোপন এবং সবচেয়ে অজেয় স্থান ধ্বংস করে দেয় – তখন এটি কেবল একটি আক্রমণ নয়, এটি ইতিহাস।
পাকিস্তানের নূর খান বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আক্রমণ ছিল এমনই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যেখানে নীরবতা শব্দের চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল এবং বিস্ফোরণের চেয়ে নির্ভুলতার আঘাত ছিল আরও তীক্ষ্ণ । পুরো নিবন্ধটি পড়ার পর বুঝতে পারবেন পাকিস্তানের আতঙ্কের কারন কি ।
আসলে,পাকিস্তানের নূর খান বিমানঘাঁটি ছিল পাকিস্তানের সাইবার কমান্ড, স্যাটেলাইট যোগাযোগ এবং পারমাণবিক কৌশলগত প্রস্তুতির দুর্গ। মাটি থেকে প্রায় ৫০-৬০ ফুট নীচে একটি ইস্পাত-কংক্রিটের বাঙ্কার, যেখানে আমেরিকান প্রযুক্তির সুরক্ষা স্তর রয়েছে। তারা ভেবেছিল এটি দুর্ভেদ্য, কিন্তু ভারতের ইচ্ছাশক্তি এবং ন্যাভিকের নির্ভুলতার মুখোমুখি হয়ে ভারত দেখিয়েছে যে দুর্ভেদ্যতা কেবল একটি বিভ্রম।
আক্রমণের নতুন গল্প যা জনসাধারণের মধ্যে ফাঁস হচ্ছে তা কোনও সিনেমার স্ক্রিপ্টের চেয়ে কম নয়।
৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে মাত্র ২ বাই ২ ফুটের ভেন্টিলেশন শ্যাফ্টকে লক্ষ্য করে, তাও সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে – এটি কোনও সাধারণ কৌশল ছিল না, এটি ছিল বিশ্বের জন্য একটি ভবিষ্যতের যুদ্ধ কৌশল, যা ভারত বর্তমানে অর্জন করেছে। ভারত প্রমাণ করেছে যে তারা এই ভবিষ্যতে বেঁচে থাকবে এবং শাসন করবে ।
আক্রমণটি কেবল একটি গর্ত ছিল না, বরং একটি সুনির্দিষ্ট গতিশীল এবং সাইবার আক্রমণ যা পাকিস্তানের সাইবার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে । যেখানে তাদের এনক্রিপ্ট করা নেটওয়ার্কগুলি ধ্বংস করা হয়েছিল, ব্যাকআপ ডেটাও পুনরায় সেট করা হয়েছিল এবং তাদের পারমাণবিক ক্ষমতা এমনভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল যে এখন তারা কেবল হুমকি দিতে পারে, অস্ত্রের আঘাত নয়।
নূর খান আক্রমণের স্তরগুলি যখন উন্মোচিত হচ্ছে, তখন আমেরিকা সহ বিশ্বের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা ভারতের নির্ভুলতা এবং আক্রমণ দেখে অবাক।যেখানে তারা মার্কিন SATCOM সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত ছিল, যেখান থেকে তাদের F-16 এবং AWACS কমান্ড করা হয়েছিল, সেই জায়গাটি এখনও নীরব। একটি ছোট গর্ত – কিন্তু ভারতের আক্রমণে পুরো কমান্ড সিস্টেমটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-২ এবং মার্কিন গ্লোবাল হকের তাপীয় ম্যাপিংও স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক স্তর কোনও বড় বিপর্যয়ের লক্ষণ ছিল।
একদিকে আক্রমণের স্তরগুলি উন্মোচিত হচ্ছে, অন্যদিকে পাকিস্তান নীরব, এবং এই নীরবতাই তাদের পরাজয়ের সবচেয়ে উৎকৃষ্ঠ প্রমাণ। ভারত কেবল তাদের স্ট্রাইক ব্যাক ক্ষমতা ধ্বংস করেনি, বরং পরোক্ষভাবে CPEC-এর মতো চীনের প্রকল্পগুলিকেও প্রভাবিত করেছে। এখন চীন তার তথাকথিত ‘ইস্পাত বন্ধু’-এর নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
এটি কেবল পাকিস্তানের জন্য নয়, বরং বিশ্বের সেই সমস্ত দেশের জন্য একটি সতর্কীকরণ ছিল যারা মনে করে যে ভারত কেবল মুখের কথায় কাজ করে। না, ভারত এখন হাতে তরবারি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, এবং সেই তরবারি এখন কোনও সতর্কতা ছাড়াই সরাসরি শত্রুর স্নায়ুতে আঘাত করে।
NavIC-এর মতো দেশীয় প্রযুক্তি, OSINT এবং HUMINT-এর মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে প্রস্তুতি, এবং এত নির্ভুলতার সাথে ক্ষেপণাস্ত্র যে আমেরিকান টমাহক এবং ইসরায়েলি ডেলিলাও লজ্জা পাবে – এই সব একত্রিত করে, ভারত সেই শত্রুকে আঘাত করেছে যারা এখন পর্যন্ত পারমাণবিক বোমার হুমকি দিয়ে বিশ্বকে ভয় দেখাত।
পাকিস্তানের জন্য, এই আক্রমণ কেবল একটি আক্রমণ ছিল না, এটি একটি সতর্কীকরণ ছিল যে ভারত এখন ‘প্রথমে আক্রমণ না করার’ (No Attack First) নীতি থেকে সরে এসেছে৷ বিশ্ব ভেবেছিল যে ভারত কেবল শান্তির কথা বলে, কিন্তু ভারত দেখিয়েছে যে আক্রমণ করার সময় শত্রু বুঝতেও পারে না যে সে কখন মারা গেছে। কোনও শব্দ নেই, কোনও ঘোষণা নেই – ভারত বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং আধুনিক যুদ্ধের একজন ওস্তাদ । এই আক্রমণটি ছিল – “কম্বলে মুড়িয়ে বাঁশের পিটুনি” – ক্ষত দৃশ্যমান নয়, তবে ব্যথা অসহনীয়। এখন প্রশ্নটি পাকিস্তান সম্পর্কে নয়, প্রশ্নটি বিশ্বের অন্যান্য অংশ সম্পর্কে – তারা কি বুঝতে পেরেছে যে ভারত আর কেবল একটি প্রতিরক্ষামূলক জাতি নয়, বরং আধুনিক যুদ্ধের ওস্তাদ হয়ে উঠেছে? ভারত এখন অজেয়, এবং আধুনিক যুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন করছে।।

