এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৪ ডিসেম্বর : চীনে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মহামারীর আকার ধারন করেছে । চীন ছাড়াও জাপান, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা । যদিও আমাদের দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি, তাসত্ত্বেও পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আগাম সতর্ক হয়ে গেছে কেন্দ্র সরকার । শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বেশ কিছু নতুন নির্দেশিকা ঘোষণা করেছেন । তার মধ্যে বিদেশ থেকে আসা ১২ বছরের উর্ধে নাগরিকদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । পাশাপাশি বিশেষ সতর্কতা হিসাবে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং থাইল্যান্ড এই ৫ দেশ থেকে ভারতে আসা প্রতিটি যাত্রীকে বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী । এছাড়া নির্দেশিকা অনুযায়ী বিমানবন্দরের যাত্রীর মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া গেলে তাদের আইসোলেশনে রাখা হবে । মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে যে বিমানবন্দরে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে নিয়মিত থার্মাল স্ক্রিনিংও করা হবে ।
এদিকে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ডিসেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ করোনা সংক্রমিত হতে পারে । সরকার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে ব্যর্থ হলে নতুন বছরের জানুয়ারিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে । যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটি দাবি করেছে যে চীনে প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ নতুন করোনা সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসছে । প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ৫ হাজারের বেশি মানুষ । আগামী বছর জানুয়ারির শেষ নাগাদ চীনে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের করোনায় মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওই ব্রিটিশ সংস্থাটি ।
চীনের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে ইতিমধ্যেই দেশের রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় সরকার । শুক্রবারের ওই বৈঠকে প্রতিটি রাজ্যকে “টেস্টিং, ট্রেসিং এবং ট্রিটমেন্ট”-এই তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে । এছাড়া আগামী ২৭ শে ডিসেম্বর থেকে সমস্ত রাজ্যকে মকড্রিল করার জন্য আবেদন করেছে কেন্দ্র সরকার ।।