সনাতনি সাহিত্য নিছক সাহিত্য নয়,এর পরতে পরতে লুকিয়ে আছে বিজ্ঞান ও মানবকল্যানের বার্তা । ভারতের এক শ্রেণীর কথিত যুক্তিবাদী তথা বামপন্থী মনস্ক কিছু ব্যক্তি সনাতনি মহাকাব্যকে নিছক কল্পনা প্রসূত বলে আজও প্রচার চালিয়ে আসছে । কিন্তু প্রকৃত গবেষকরা ওই সমস্ত গ্রন্থগুলিতে শুধু বিজ্ঞান নয়, মানবকল্যাণের অসংখ্য বার্তা খুঁজে পেয়েছেন । তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নিউরোলজিস্ট ডাঃ শ্বেতা আদাতিয়া ।
জ্যোতিষশাস্ত্রে হনুমান চালিশা পড়ার অনেক উপকারিতার কথা বলা হয়ে থাকলেও কথিত বামপন্থীরা তা ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু এর চিকিৎসাগত উপকারিতার কথা শুনিয়েছেন ডাঃ শ্বেতা আদাতিয়া । সম্প্রতি, তিনি এই বিষয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করেছেন । ডঃ শ্বেতা তার ভিডিওতে হনুমান চালিশার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা তুলে ধরেছেন এবং দাবি করেছেন যে হনুমান চালিশা পাঠ করলে হৃৎযন্ত্র হৃদয় ও মনের জন্য খুবই উপকারী । তার কথায়, হনুমান চালিশাকে ‘যোগিক শ্বাস-প্রশ্বাস’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মানে হল যে আপনি যখন এটি পড়বেন, তখন আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস একটি নির্দিষ্ট ধরণ অনুসরণ করবে।
উদাহরণস্বরূপ, কিছু চৌপায়ী পাঠ করার সময়, নিঃশ্বাস ত্যাগ করা হয় (যেমন: জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর), অন্য চৌপায়ী পাঠ করার সময়, নিঃশ্বাস ত্যাগ করা হয় (যেমন: জয় কাপিস তিহু লোক উজাগর), কিছুতে, নিঃশ্বাস আটকে রাখা হয় (যেমন: রামদূত অতুলিত বলধামম), কিছুতে, নিঃশ্বাস ধরে রাখার পর বেরিয়ে যায় (যেমন: অঞ্জনি পুত্র পবন সুত নাম)। ডাঃ শ্বেতার মতে, এই প্রক্রিয়াটি হৃদস্পন্দনের পরিবর্তনশীলতা (HRV) কে প্রভাবিত করে, যা হৃদপিণ্ডের অবস্থা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, যদি হনুমান চালিশা সঠিকভাবে পাঠ করা হয়, তাহলে এটি ‘লিম্বিক সিস্টেম’-এর উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে যার ফলে ব্যক্তির মানসিক উদ্বেগ কমে যায় এবং তার ভেতরের ভয় চলে যায়। চিকিৎসক বলেন যে হনুমান চালিশা পাঠ করলে ভ্যাগাস স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় হয়, যা হজম এবং চাপ ব্যবস্থাপনার মতো শরীরের অনেক কাজে সাহায্য করে। যখন এই স্নায়ু সক্রিয় হয়, তখন শরীরের অনেক প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধন হয়।
ভিডিওতে তিনি হনুমান চালিশা পড়ার সঠিক পদ্ধতিও বলেছেন। তিনি বলেন, ধীরে ধীরে পাঠ করলে এর উপকারিতা অর্জন করা সম্ভব; দ্রুত পাঠ করা ভুল। তিনি বলেন, এই সমস্ত বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে যে হনুমান চালিশা পাঠ হৃৎযন্ত্র এবং মন উভয়ের উপরই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ভিডিওটি ১৮ জানুয়ারী ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটি প্রায় ৬৬ হাজার ভিউ পেয়েছে। আর এটি লাইক করেছেন ২ হাজার ৫০০ জন। এতে তিনি হনুমান মন্ত্র থেকে শুরু করে শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরণ পর্যন্ত সবকিছু ব্যাখ্যা করেছেন নিউরোলজিস্ট ডাঃ শ্বেতা আদাতিয়া ।।