এইদিন বিনোদনডেস্ক,০২ সেপ্টেম্বর : কান্দাহার হাইজ্যাক নিয়ে তৈরি Netflix এর IC814 সিরিজ মুক্তি পেয়েছে গত ২৯শে আগস্ট । ছবিতে রয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, পঙ্কজ কাপুর, বিজয় ভার্মা, অরবিন্দ স্বামী এবং কুমুদ মিশ্রের মতো অভিনেতারা । সিরিজের পরিচালক অনুভব সিনহা। সবাই তাদের কাজের প্রশংসা পাচ্ছেন। তবে সিরিজটি আসার পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও তোলপাড় শুরু হয়েছে । কারন কান্দাহার হাইজ্যাকে জড়িত সমস্ত সন্ত্রাসবাদীরাই ছিল মুসলিম। কিন্তু তাদের মধ্যে দুই সন্ত্রাসীর নাম ‘ভোলা’ ও ‘শঙ্কর’ রাখায় তীব্র আপত্তি তুলছেন হিন্দুরা । মানুষ নেটফ্লিক্স ও বলিউড বয়কটের আহ্বান জানাচ্ছে । তারা বলেছেন যে Netflix সিরিজ হিন্দু সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রিনশট শেয়ার করে, ওই সমস্ত লোকেরা Netflix থেকে সদস্যতা ত্যাগ করার জন্য আবেদন করছে ।
প্রসঙ্গত,১৯৯৯ সালের২৪ ডিসেম্বর পাঁচ সন্ত্রাসী শহীদ আখতার সাঈদ, ইব্রাহিম আখতার, সানি আহমেদ কাজী, মিস্ত্রি জহুর ইব্রাহিম এবং শাকির ওরফে রাজেশ গোপাল ভার্মা, কাঠমান্ডু থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের IC814 নম্বর বিমান হাইজ্যাক করে । তবে সন্ত্রাসীরা নিজদের পরিচয় গোপন করতে তিনি চিফ, ডাক্তার, বার্গার, ভোলা ও শঙ্করের মতো কিছু কোড নাম রাখে । এই হাইজ্যাকের বিষয়ে ভারত সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতেও এটি উল্লেখ করা হয়েছে। অনুভব সিনহা জানিয়েছেন, সঙ্গত কারনেই তার সিরিজেও ওই নামগুলি এসেছে । সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছেন তিনি সিরিজের শেষে সব সন্ত্রাসীর নাম প্রকাশ করেছেন। মুক্তি পাওয়া সন্ত্রাসীরা কীভাবে ভবিষ্যতে সন্ত্রাস ছড়ায় তাও জানান। পরিচারলকের এই যুক্তি সত্ত্বেও সিরিজে সন্ত্রাসীদের ইচ্ছাকৃতভাবে মানবিক করার চেষ্টার অভিযোগ উঠছে । কারন ছবিতে দেখানো হয়েছে যে পনবন্দিদের সঙ্গে অন্তরাক্ষরি খেলছে সন্ত্রাসীরা ।
সমীর নামে এক এক্স ব্যবহারকারী পরিচালক অনুভব সিনহার একটা পুরনো ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এটিতে ভোলা ও শঙ্করের চরিত্রে ইব্রাহিম, শহিদ ইত্যাদি ছিনতাইকারীকে দেখানো হয়েছে। তিনি টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের একটি অংশ – এখানে সিএএ কী ছিল তা না জেনে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়াতে সিএএ বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ছবিতে দেখুন । কখনও ক্ষমা করবেন না, কখনও ভুলে যাবেন না ।’
উল্লেখ্য, ওই বিমান হাইজ্যাকের ঘটনায় যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে মাসুদ আজহার, আহমেদ ওমর সাঈদ শেখ এবং মুশতাক জারগার এর মত কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় । ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর ভারত সরকার তিন সন্ত্রাসীকে কাবুলে নিয়ে গিয়ে হাইজ্যাকারদের কাছে হস্তান্তর করে এবং বিনিময়ে তারা জিম্মিদের মুক্তি দেয়।।