এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাঠমান্ডু,২৯ মার্চ : হিন্দু রাষ্ট্র ও রাজতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল নেপাল । ২০০৮ সালে বিলুপ্ত রাজতন্ত্র ও হিন্দু রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবিতে রাজধানী কাঠমান্ডুতে নিরাপত্তা বাহিনী ও রাজতন্ত্রপন্থী কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে বিক্ষোভের ধরণ অনুসরণ করে নেপালে কমিউনিস্ট শাসনকে উৎখাত করে নেপালকে ফের হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
জানা গেছে,নেপালি রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এবং অন্যান্যরা শুক্রবার কাঠমান্ডুতে কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে গণ-প্রতিবাদে যোগ দিযয়েছিল । যে দলটি ২০০৮ সালে নেপালের ২৪০ বছরের পুরনো রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে এবং হিন্দু রাষ্ট্রকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, ফেডারেল, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত করার জন্য কমিউনিস্টদের পাশে ছিল, আজ তারাই ফের হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে সরব হয়েছে । নেপালি জনগণ কমিউনিস্ট সরকারকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার জন্য ১৫ দিনের চরমপত্র দিয়েছে বলে জানা গেছে ।
সাধারণ মানুষ বলছে তারা ‘বৈদিক সনাতন হিন্দু রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করতে চায।বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, ‘আমাদের দেশ হিন্দু রাষ্ট্র হলেই আমাদের সনাতনী মূল্যবোধ এবং পরিচয় বজায় রাখবে ।’ এমনকি নেপালি কংগ্রেসের সাংসদ ভান্ডারীও বলেছেন “মানুষ বর্তমান শাসনব্যবস্থায় হতাশ” ।
প্রাক্তন মেজর জেনারেল জিডি বক্সি বলেছেন, ‘নেপালে বাস্তবিক যা ঘটছে তা হল, বর্তমান কমিউনিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে বলে মনে হচ্ছে। রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং সকল দুর্নীতির অবসানের জন্য বিশাল সমাবেশ হচ্ছে। কংগ্রেস শাসনকালে কাঠমান্ডুতে মাওবাদীদের ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করার মাধ্যমে ভারত বড় লক্ষ্য অর্জন করেছিল। এটা বোকামি ছিল – কমিউনিস্টরা চীনাদের প্রতি আরও অনুগত প্রমাণিত হয়েছে। নেপাল ছিল বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাজ্য। সেই মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা উচিত।’।

