এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৯ জুলাই: পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় প্রতিবেশী যুবক ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ । ধৃতদের নাম বাবুসোনা দাস(২৬) ও তাঁর বাবা শ্যামল দাস । তাঁদের বাড়ি কাটোয়া থানার আমডাঙ্গা গ্রামে । রবিবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় । তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার । সোমবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।
আমডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বাবুসোনা দাস বিবাহিত । দুই সন্তানও রয়েছে তাঁর । তা সত্ত্বেও সে প্রতিবেশী বছর ষোলোর ওই কিশোরীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে বলে অভিযোগ । জানা গেছে, গত শুক্রবার পাড়ার কাছে একটি পুকুরের পাড়ে দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন কিশোরীর দাদা । তিনি তখন তাঁর বোনকে ভর্ৎসনা করেন । পাশাপাশি তিরস্কার করেন বাবুসোনাকেও । এই অপরাধে বাবুসোনা মেয়েটির দাদাকে ব্যাপক মারধর করে । এমনকি এই কারনে বাবুসোনার বাবা শ্যামল দাসও কিশোরীর দাদার উপর চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ ।
জানা গেছে,মারধরের জেরে রাতের দিকে মেয়েটির দাদা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । আহত ছেলের দেখভালের জন্য হাসপাতালেই ছিলেন কিশোরীর বাবা ।পরের দিন কিশোরীর মা ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যান । মেয়েটি বাড়িতে একাই ছিল । সেই সময় সে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ।
পরের দিন অর্থাৎ গত রবিবার মৃতার বাবা এনিয়ে বাবুসোনা দাস ও তাঁর বাবা শ্যামল দাসের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তাঁর অভিযোগ,বাবা ও ছেলের প্ররোচনাতেই তাঁর মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিন রাতেই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।।