এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,১০ নভেম্বর : এবার দেবেন্দ্র ফড়নবিসের বিরুদ্ধে কার্যত ‘বোমা’ ফাটালেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক ।বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একদিকে যেমন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন । পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে তুলেছেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ ও জাল নোটের চক্র চালানোর মত গুরুতর অভিযোগও । নবাব মালিকের অভিযোগ, ‘দেবেন্দ্র ফড়নবিস মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মহারাষ্ট্রে জাল নোটের কারবার চালাতেন । তার পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পর্যন্ত এ ব্যবসা চলত ।’
প্রসঙ্গত,মুম্বাই ড্রাগস কেস দিয়ে শুরু হয়েছে বাক যুদ্ধ । বর্তমানে বিষয়টি রাজনৈতিক যুদ্ধে পরিণত হয়েছে । মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ও এনসিপি নেতা নবাব মালিক বাকযুদ্ধে প্রতিদিনই নতুন নতুন খোলাসা হচ্ছে । মঙ্গলবার নবাব মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস । তিনি দাবি করেন, নবাব মালিকের পরিবার আন্ডারওয়ার্ল্ডের লোকজনের কাছ থেকে সস্তায় জমি কিনেছেন ।তাঁর এই দাবির প্রমান স্বরূপ দেবেন্দ্র ফড়নবীস সাংবাদিক সম্মেলনের সময় অনেক নথিপত্রও দেখিয়েছিলেন । বলেছিলেন যে তিনি এই নথিগুলি তিনি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের কাছে হস্তান্তর করবেন ।
দেবেন্দ্র ফড়নবীসের এই অভিযোগের জবাবে এদিন নবাব মালিক সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর বিরুদ্ধে পালটা বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ তোলেন । নবাব মালিক অভিযোগ করেছেন, ‘২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দির পরে দেশের অনেক জায়গায় জাল নোট ধরা পড়েছিল । কিন্তু পুরো এক বছরের মধ্যে মহারাষ্ট্রে একটিও জাল নোটের মামলা প্রকাশ্যে আসেনি । ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে একটি অভিযানে ১৪ কোটি ৫৬ লাখেরও বেশি জাল নোট ধরা পড়েছিল । দেবেন্দ্র ফড়নবীস সেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার কাজ করেছিলেন । অভিযানে মাত্র ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয় । ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় । অবশ্য তাদের কয়েক দিনের মধ্যে জামিনও হয়ে যায় ।’ তাঁর অভিযোগ, ‘বিষয়টি এনআইএ-র কাছে পাঠানো হয়নি । কারন যারা জাল নোটের র্যাকেট চালাচ্ছিল তাদের তৎকালীন সরকারের ছত্রছায়ায় ছিল ।’
নবাব মালিক বলেন, ‘ফড়নবীস মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদেরই কেবল রাজনৈতিক পদ দিতেন । তিনি মুন্না যাদব নামে এক ব্যক্তিকে নির্মাণ বোর্ডের (construction board) চেয়ারম্যান করেছিলেন । মুন্না একজন মাফিয়া ছিল । সে বহু খুনের মামলায় অভিযুক্ত ।’
নবাব মালিকের অভিযোগ, ‘দাউদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রিয়াজ ভাটির মাধ্যমে তোলাবাজির কাজটি সিএম ফড়নবীস করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে ।লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে টাকা উসুল করা হত । জমির মালিকদের ধরে এনে সব জমি লিখিয়ে নেওয়া হত ।’ এমনকি বিজেপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের খাবার টেবিল থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে পর্যন্ত রিয়াজ ভাটিকে দেখা যেত বলে অভিযোগ করেন নবাব মালিক ।।