এইদিন ওয়েবডেস্ক,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),১৫ আগস্ট : দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালনে জাতীয় পতাকা উত্তলোনের সময় পায়ে ঠেকছে জাতীয় পতাকা।কিন্তু তা হুঁশ করলেন না রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।বর্ষিয়ান এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরে কলেজের আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন গ্রন্থাগারমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় জাতীয় পতাকা উত্তলোনের মাধ্যমে। তখনই দেখা যায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি জুতো পড়ে রয়েছেন। আর মূল পতাকার নিচে বেদিতে সাজানো জাতীয় পতাকা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর জুতোয় স্পর্শ করেই চলেছে।এমনই দৃশ্যের ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে এলাকায়। নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকেই। কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকাতেও সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।
দেখুন ভিডিও :
কলেজের অধ্যক্ষ বসন্ত খামরুই যদিও বলেন,“কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়ারা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।তবে বেদি সাজানোর সময় নিচের দিকে জাতীয় পতাকা লাগানোর বিষয়টি আমার নজরে পড়েনি। তারাও এনিয়ে আমায় কিছু জানায়নি।তবে এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”
মন্তেশ্বরে কলেজের ঘটনার পাশাপাশি রবিবার জাতীয় পতাকার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় কালনাতেও। কালনায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢাকা দেওয়া নিয়ে এলাকায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে,কালনা ২ ব্লকের পাথরঘাটা পূর্ব এলাকার বাসিন্দা শ্যামাপদ কবিরাজ নামে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর সৎকাজের আগে ওই ব্যক্তির দেহের ওপর জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢাকা দেওয়া হয়। এই ঘটনাতেও নাম জড়ায় শাসকদলের স্থানীয় কিছু কর্মীদের। জানা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের নিয়ে ‘পিন্ডিরা অঞ্চল কমিটি” নামে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ওই ছবি পোষ্টও করা হয়।সেই ছবি পোষ্ট করে গ্রুপের এক সদস্য উল্লেখ করেন,‘পাথরঘাটা পূর্বের বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতির বাবার মৃত্যুতে তৃণমূলের সকল কর্মীদের উপস্থিতিতে শ্মশানযাত্রা।’ এ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই অনেকে আপত্তি করেন।তৃণমূলের কালনা ২ ব্লক সভাপতি প্রণব রায় বলেন,” এটা একদমই ঠিক হয়নি। মনে হয় আবেগবশত করে ফেলেছে। তবে এটা কাম্য নয় ।’।