এইদিন ওয়েবডেস্ক,বিহার,১৭ ফেব্রুয়ারী : মাস ছয়েক আগে তিন তালাক দিয়েছিল স্বামী । ফলে দেড় বছরের একটি মেয়েকে নিয়ে চরম অতান্তরে পড়েন মুসলিম তরুনী । তালাকের পর হালালার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল তার উপর । শেষে তিতিবিরক্ত হয়ে বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা ২০ বছরের নাসিমা খাতুন ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন । নিজের নাম রেখেছেন মীনাক্ষী । বিয়ে করেছেন উত্তরপ্রদেশের বেরেলি এলাকার বাসিন্দা প্রেমিক মহেশ শর্মাকে । প্রেমিককে বিয়ে করতে পূর্ণিয়া থেকে বেরেলি আসেন নাসিমা খাতুন। গত ১০ জানুয়ারী নাসিমা খাতুন হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বেরেলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি আবেদন করেছিলেন ।
আবেদনে নাসিমা লিখেছেন,’মুঘল হানাদারদের সন্ত্রাসের কারণে আমার পূর্বপুরুষরা ইসলামের অনুসারী হয়েছিলেন, কিন্তু আমার বিশ্বাস ও বিশ্বাস হিন্দু সনাতন ধর্মে। আমি হিন্দু দেব-দেবীর পূজা করি। ইসলাম ধর্মে নারীর কোনো সম্মান নেই। তিন তালাক এবং হালালার মতো খারাপ প্রথা প্রচলিত আছে। আমি স্বেচ্ছায় ‘ঘর বাপসি’ করে হিন্দু/বৈদিক/সনাতন ধর্ম গ্রহণ করতে চাই।’
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা নাসিমা খাতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে মহেশ শর্মার সংস্পর্শে আসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগের পর ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে কথা বলা শুরু হয়। এরপর দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেম গড়ে ওঠে। স্বামী তিন তালাক দেওয়ার পর নাসিমা খাতুন বেরেলির অগস্ত্য মুনির আশ্রমে যান ৷ প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করার পর পণ্ডিত শঙ্খধর তাকে বৈদিক পদ্ধতিতে সনাতন ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন । এরপর প্রেমিক মহেশ শর্মাকে বিয়ে করে মীনাক্ষী শর্মা হিসাবে পরিচিত হন নাসিমা খাতুন ।
নাসিমা বলেছেন যে তার বিয়ে আগ্রায় হয়েছিল, প্রথমপক্ষের একটি দেড় বছরের মেয়েও রয়েছে। তিনি জানান, ৬ মাস আগে পারিবারিক অশান্তির জেরে তার স্বামী তাকে তিন তালাক দিয়েছিল। এরপর হালালার জন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি হতে থাকে। হালালার বিরোধিতা করলে তার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর তিনি বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন । এই সময়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বেরেলির মহেশ শর্মার সংস্পর্শে আসেন। এদিকে বিয়ের পরননাসিমা খাতুনের পরিবার তাকে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।।