এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,১৩ জুলাই : জলবায়ূর পরিবর্তনের কারনে পৃথিবীর আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে । দ্রুত হারে গলছে মেরু প্রদেশের হিমাবাহ । বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর । অনেক দেশে বন্যা পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়েছে । পৃথিবীতে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কুফল সম্পর্কে ইতিপূর্বে বহুবার সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা । ফের একবার এনিয়ে আশঙ্কার কথা শোনাল আমেরিকার মহাকাশ এজেন্সি নাসা । ভবিষ্যতে চাঁদ পৃথিবীর আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারন হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে নাসা । নাসার এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে,পৃথিবীতে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারনে ২০৩০ সালে চাঁদে আলোড়নের সৃষ্টি হবে । যার প্রভাবে বিধ্বংসী বণ্যার সৃষ্টি হবে পৃথিবীতে ।
জলবায়ূর পরিবর্তন সংক্রান্ত জার্নাল ‘নেচার’-এ গত ২১ জুন নাসার এই গবেষণা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় । গবেষণায় চাঁদের কারনে পৃথিবীতে যে সম্ভাব্য বণ্যার কথা বলা হয়েছে
সেটিকে ‘riotous floods’ বা ‘উপদ্রবী বন্যা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে । সাধারন এই বণ্যা উপকুলীয় অঞ্চলে দেখা যায় । যখন সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের থেকে ২ ফুট বৃদ্ধি পায় তখন এই বণ্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ।
নাসার গবেষণা অনুযায়ী,২০৩০ সালের মাঝামাঝি থেকে লাগাতার ‘উপদ্রবী বন্যা’ বণ্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে । আমেরিকার উপকুলীয় এলাকাগুলিতে সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের থেকে ৩-৪ ফুট বেশি হবে । আগামী এক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে এই পরিস্থিতি চলবে । গবেষণায় দাবি করা হয়েছে,এই বন্যা পরিস্থিতি সারা বছর নিয়মিত হবে না । পুরো পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে মাত্র কয়েক মাসের জন্য । যার ফলে এর ঝুঁকি বেড়ে যাবে ।
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে নিচু অঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে । ঘন ঘন বন্যার কারনে মানুষকে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে । আর আগামী দিনে এই সমস্যা আরও বাড়বে ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘চাঁদ তার কক্ষপথ থেকে সরে যাওয়ার কারনে উদ্ভুত মহাকর্ষীয় টান,সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি ও জলবায়ূর পরিবর্তনের কারনে বিশ্বজুড়ে উপকূলীয় এলাকাগুলিতে বণ্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে । যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে