এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,২৪ জানুয়ারী : সুস্থ মানুষকে প্রতিবন্ধী সাজিয়ে জাল শংসাপত্র চক্র চালাচ্ছিলেন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারো গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নাজিমুল হক । তবে এই চক্রের মাথা হলেন তার শ্যালক নুর আলম যিনি আবার মালদা পুলিশ লাইনের হোমগার্ড পদে কর্মরত । চক্রে রয়েছে মামুন আলী নামে আরও এক তৃণমূল কর্মী । মামুনের রয়েছে নিজস্ব এক ছাপাখানা । সেখান থেকেই হত যাবতীয় কুকর্ম । রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত, তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত, বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ আশপাশের বহু এলাকাতেই ছড়িয়েছিল জাল শংসাপত্র চক্রের জাল । ওই চক্রটি এলাকার মানুষের কাছ থেকে ৮-১০ হাজার টাকা নিয়ে সুস্থ মানুষকে অসুস্থ সাজিয়ে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট বানিয়ে দিত । এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছিল ওই প্রতারক চক্রটি । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না,হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন মণ্ডল ওই জাল শংসাপত্র চক্রের পর্দাফাঁস করে দিলেন ।
স্থানীয় সূত্রে খবর,হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শালদহ গ্রামে সমাধান প্রকল্পের কাজে সোমবার গিয়েছিলেন বিডিও । ওই প্রকল্পে উপভোক্তারা তাদের সমস্যা নিয়ে বিডিওর কাছে আসে । সেই সময় বিশেষ ভাবে সক্ষম কিছু উপভোক্তা ভাতার আবেদনের জন্য শংসাপত্র জমা দেয় তাকে । কিন্তু সেই শংসাপত্র দেখে সন্দেহ হয় বিডিওর । তারপর তিনি তা খতিয়ে দেখে জানতে পারেন সে শংসাপত্র গুলি জাল । এদিকে জাল প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেটের কথা চাওড় হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে ।
জানা গেছে,এই চক্রে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নাজিমুল হক জড়িয়ে আছে জানতে পেরে গ্রামবাসীরা তাকে আটকে রাখে । পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে ।
তাকে জেরা করে পুলিশ নুর আলম ও মামুন আলীকে পাকড়াও করে । ধৃতদের তিনজনকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় ।
এদিকে একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে ব্যতিব্যস্ত শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার নতুন কেলেঙ্কারি লোকসভা নির্বাচনের ঠিকমুখেই সামনে আসায় চরম বিপাকে পড়ে গেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ।।