এইদিন ওয়েবডেস্ক,নাগপুর,০৪ আগস্ট : পেশা হচ্ছে রুপের জাদুতে মুগ্ধ করে বিয়ে করা এবং ফুলশয্যার রাতেই সর্বস্ব নিয়ে চম্পট দেওয়া ৷ একটা বা দুটো নয়, ইতিমধ্যে অন্তত ৮ টা বিয়ে করে সোনার অলঙ্কার ও নগদ টাকাসহ কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন ওই তরুনী । স্থানীয়রা তার নাম দিয়েছিল ‘লুটেরা দুলহন’। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । সামিরা ফাতিমা নামে ওই তরুনী তার পরবর্তী শিকার – সম্ভাব্য নবম স্বামী – খুঁজতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন । পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের পর স্বামীদের ব্ল্যাকমেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বিবাহকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন ওই তরুনী । তবে তার এই অভিনব প্রতারণার শিকার শুধু ৮ ব্যক্তি হয়নি, বরঞ্চ বিগত ১৫ বছরে তিনি আরও বেশ কয়েকজন পুরুষকে প্রতারণা করেছেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর,সামিরা ফাতিমার নিশানায় থাকত মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের ধনী ও বিবাহিত পুরুষরা । সামিরা তার শিকারদের প্রলুব্ধ করতে বৈবাহিক ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক ব্যবহার করতেন। তিনি ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করতেন, তার জীবনের আবেগঘন গল্প শেয়ার করতেন। পাশাপাশি ফাতিমা তার শিকারকে নিজের রূপের জালে ফাঁসাতেন । শিকার সম্পূর্ণ তার বশে চলে এলে বিয়ের নাটক করতেন ওই তরুনী । বিয়ের পর শুরু হত ব্ল্যাকমেলিং । শেষ পর্যন্ত হুমকি এবং মানসিক কৌশলের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিত সে । ফের শুরু করত নতুন শিকারের সন্ধান।
রিজার্ভ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও এভাবে ফেঁসেছে নাগপুরের ‘লুটেরা দুলহন’ সামিরা ফাতিমার জালে । তরুনীর এক প্রতারিত স্বামী দাবি করেছেন যে তিনি নগদ অর্থ এবং ব্যাংক স্থানান্তরের মাধ্যমে একজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা এবং অন্যজনের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন । পুলিশ ফাতিমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে । এখন ধৃতকে জেরা করে তার শিকারের প্রকৃত সংখ্যা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ।।