এইদিন ওয়েবডেস্ক,নদীয়া,২১ অক্টোবর : গালিগালাজ ও মারধরের প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূকে ছোট হাতি গাড়ির চাকায় পিষে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । এই নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে নদীয়া জেলার তাহেরপুর থানা এলাকায় । মৃতার নাম তন্দ্রা বিশ্বাস (৩২) । আহত হয়েছেন বধূর বাবাসহ আরও ২ জন । এনিয়ে মৃতার স্বামী সুজন বিশ্বাস খুনের অভিযোগে মামলা রজু করলে পুলিশ ঘাতক ছোট হাতি গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে । পুলিশ ধৃতকে বিপুল মুস্তাফি নামে চিহ্নিত করেছে বলে জানা গেছে । এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।মহিলার মৃতদেহ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে,তাহেরপুর থানা এলাকার শ্যামনগর কামগাছি এলাকায় বাড়ি সুজন বিশ্বাসের । তার ৯ বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার জালালখালিতে ওষুধের দোকান রয়েছে তার । প্রতিদিনের মত রবিবার রাতেও দোকান বন্ধ করে স্ত্রীকে বাইকের পিছনে চাপিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন । রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক ধরে খামার শিমুলিয়া এলাকা কিছুটা পেরিয়ে আসতেই তন্দ্রাদেবী বাইকে বসেই চশমা পরিষ্কার করার সময় হাত ফস্তে চশমা রাস্তায় পড়ে যায় । সুজনবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন,’সেই সময় একটা মোটরভ্যান সেখানে চলে আসে । ভ্যান চালক আমাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে । আমি ও আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করি । সে আমায় ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে । আমরাও পালটা মারি তাকে । তখন মোটরভ্যান চালক কাউকে ফোন করে ডাকে । তার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা ছোট হাতি গাড়ি চালক সেখানে চলে আসে । ছোট হাতি গাড়ি চালক এসেই আমার জামার কলার ধরে মারতে শুরু করে । ইতিমধ্যে আমরা ফোন করে প্রতিবেশী এক ব্যবসায়ীকে ঘটনার কথা বলি । ফোন পেয়ে ওই ব্যবসায়ীরা ছুটে এলে ছোট হাতি গাড়িটি চলে যায় ।’
তিনি বলেন,’আমরা মনে করেছিলাম যে হয়ত ঝামেলা মিটে গেছে । কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ফের ছোট হাতি গাড়িটি ফিরে আসে । চালক গাড়ির সব আলো নিভিয়ে দিয়ে কৃষ্ণনগরের দিকে দুরন্ত গতিতে ছুটে এসে আমার স্ত্রীকে গাড়ির চাকায় পিষে দেয় । ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় । স্ত্রীর পাশেই ছিলেন আমার শ্বশুর মশাই ও আরও একজন । তারাও গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন ।’
জানা গেছে,স্থানীয়েরা আহতদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু তন্দ্রাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে । মৃতার স্বামী দাবি করেছেন যে এটা পরিকল্পিত খুনের ঘটনা । অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।।