পৃথিবীটা মায়ার চাদরে আদর মাখানো ঘনকালো চুলের মতো
অপরূপ সৌন্দর্য্যের ঘনঘটা প্রকৃতি জুড়ে বিভিন্ন ঋতুর আগমনে
জন্মের সাথে সাথেই একটু একটু করে অন্দরে প্রবেশ,
কতো না রূপ রসে আর গন্ধে পরিপূর্ণ চারিদিক।
জীবনের যাতা কলে কেউ খুঁজে পায় অনাবিল সুখ,
আবার কেউ বা শুধু হাতরে বেড়ায় সারা জীবন।
না পাওয়ার হিসাব কষতেই বর্তমান সময় করে অতিবাহিত
শান্তির নীড় চাইলেই কী আর যায় পাওয়া সর্বত্র,
ভাগ্যবান যে সে এমনিতেই পায়,নতুবা কর্মে অর্জন।
সৎ অসৎ পবিত্র অপবিত্র মানুষ চেনা বড়োই কঠিন;
সঠিক বিচার পায়না হয়না মূল্যায়ন,কে নেবে দায়?
বিপদে এগিয়ে আসে মুষ্টিমেয় মানব,যায় হাতে গোনা
বাকী সবাই পাশ কাটিয়ে যায় যেন অচেনা অতিথি,
তবু আমরা সমাজবদ্ধ, কতো ফাগুন বসন্ত দিনের সাক্ষী
একাকিত্বে কাটে যায় বয়ে বেলা যেনো শেষের কবিতা।
চেনা মুখগুলো পাশ কাটিয়ে যায়, দেখে না ফিরে!
যেনো কূলে একা বসে আছি শুধু পরপারের অপেক্ষা,
কতো সুন্দর পৃথিবী তবুও চারিদিকে শুধুই ঘন অন্ধকার
যায় না দেখা এপার ওপার আসছে অগনিত ঢেউ,
দেয় না কেউ হাত বাড়িয়ে বাঁচাবার জীবনরক্ষাকারী ওষুধ।
এমনি কতো কথাই মনের মাঝে ঝড় তোলে অবিরাম,
সুপ্ত অনুভূতি আছরে পরে বুকের ভিতর উথাল পাথাল ;
ক্ষণিকের গভীর অন্তঃপুরে এলোমেলো রেখা টানতে থাকি অনবরত
কেউ নেই শোনার সান্ত্বনা দেবার ব্যস্ত নিজ কর্মে।।