প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৬ জুন : মৃত অবস্থায় বাড়ির উঠান থেকে উদ্ধার হল দুই নাবালিকা বোনের দেহ । মৃতরা হল সুমি খাতুন (৮) ও রুমি খাতুন (৬) ।তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে । শনিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার খালেরপুল এলাকায়।দুই বোনকে এদিন বিকালে মৃত অবস্থায় ঘরের কাছে উঠানে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তারাই খবর দেন রায়না থানায় ।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে । স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান কোনভাবে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হওয়ায় দুই নাবালিকার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে । রায়না থানার ওসি পুলক মণ্ডল বলেন, ‘বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এই ব্যাপারে জানতে বিদ্যুৎ দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে । তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে দুই নাবালিকার মা অগ্নিদগ্ধ হন । তিনি এখন বাপেরবাড়িতে আছেন। নাবালিকা দুই বোন এদিন নিজেদের বাড়িতেই ছিল । বাড়ির উঠানে থাকা দোলনার কাছেই পড়েছিল দুই নাবালিকা বোনের মৃত দেহ । তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে । বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে দুই বোন মারা গিয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেন । পুলিশও প্রাথমিক অনুমানে তেমনটাই মনে করছে । তবে আদৌ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে কিনা এবং তা হয়ে থাকলে কিভাবে হল সেই বিষয়ে নিশ্চিৎ হতে বিদ্যুৎ দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে রায়না থানা ।
এদিকে দুই মেয়ের মৃত্যুর কথা রাতে জানার পরেই স্বামী নাজিবুল লায়েকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নাবালিকাদের মা শিউলি বেগম । তিনি অভিযোগ করেন অন্য মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামী নাজিবুল লায়েকের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে । সেই সম্পর্কের পথ মশ্রিন করতে তার স্বামী তাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল ।
শিউলির অভিযোগ , ‘এদিন তাঁর দুই নাবালিকা মেয়েকে নাজিবুল বিষ খাইয়ে প্রাণে মেরে দিয়ে ইলেকট্রিক কারেন্ট খেয়ে মরে যাওয়ার গল্প ফাঁদে ।’ এমন অভিযোগ উঠে আসার পরেই স্থানীয়রা নাজিবুলকে ধরে মারধর শুরু করে দেয় । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নাজিবুলকে আটক করে । পুলিশ নাজিবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।।