এইদিন ওয়েবডেস্ক,ময়নাগুড়ি,২১ নভেম্বর : নয়ানজুলির পাশে ধানজমিতে পড়ে হোমগার্ড ছেলের রক্তাক্ত দেহ । বাড়ির ঘরের মধ্যে বসে থাকা অবস্থায় মায়ের নিথর দেহ । মঙ্গলবার সকালে মা ও ছেলের এই প্রকার রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পড়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম সবিতা বর্মন (৬৫) ওরফে টুলটুলি এবং তার ছেলে পরিমল বর্মন (৪৫) । স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে মা ও ছেলেকে । যদিও পুলিশের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে,ময়নাগুড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগরের বাড়ি সবিতা বর্মনদের । সবিতাদেবীর স্বামী নির্মল বর্মন হোমগার্ডের একজন আধিকারিক ছিলেন । স্বামী মারা যাওয়ার মা ও ছেলে বাড়িতে থাকতেন । সম্পন্ন পরিবার । ছেলে পরিমল বর্মন জলপাইগুড়িতে হোমগার্ডে কর্মরত ছিলেন । সোমবার পরিমল বাইকে চড়ে বাড়ির কিছুটা পাশে নয়ানজুলিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন । তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি । আজ মঙ্গলবার সকাল ৬ টা নাগাদ প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পায় নয়ানজুলির পাশের ধানজমিতে পড়ে রয়েছে পরিমল বর্মনের রক্তাক্ত মৃতদেহ । খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ প্রথমে ধানখেত থেকে পরিমলবাবুর দেহ উদ্ধার করে । তারপর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পঞ্চাশ মিটার দূরে দেবীনগরের তাঁদের বাড়িতে এসে পুলিশ দেখতে পায় যে ঘরের সমস্ত দরজা খোলা । ভেতরের আসবাবপত্র, বিছানা তছনছ হয়ে রয়েছে । পরিমলবাবুর মা সবিতাদেবীর দেহ ঘরের মেঝেতে বসানো ছিল । তাঁর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানা গেছে । স্থানীয়দের অনুমান যে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে পরিচিতদের হাত রয়েছে । পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।।