প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১১ আগষ্ট : রহস্যজনক মৃত্যু হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক জুনিয়র ডাক্তারের । মৃতর নাম শেখ মোবারক হোসেন (২৩)। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার সাহাজাদপুরে । তিনি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জরি বিভাগের হাউস স্টাফ ছিলেন । বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর বয়েজ হোস্টেলে তিনি থাকতেন । বুধবার ভোর রাত আড়াইটে নাগাদ হোস্টেলের অন্য আবাসিক ডাক্তাররা হঠাৎতই উপর থেকে ভারি কিছু পড়ার শব্দ পান। তখনই তারা বাইরে বেরিয়ে দেখেন নিচে ডাক্তার মোবারক হোসেন রক্তাত অবস্থায় উবুর হয়ে পড়ে রয়েছেন ।এমন ঘটনা দেখেই হোস্টেলের অন্য জুনিয়র আবাসিক ডাক্তাররা সিনিয়ারদের খবর দেয় । সিনিয়ার ডাক্তাররা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান । মোবারক হোসেনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন ।
চিকিৎসকের এমন মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনা,নাকি আত্মহত্যা? নাকি ঘটনার পিছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার ) সৌভিক পাত্র ও বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী এদিন ঘটনাস্থলে তদন্তে যান ।তারা ঘটনাস্থলের সবিস্তার খতিয়ে দেখেন ।এদিনই চিকিৎসকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই মৃত্যুর কারণ অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। তারা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে।
মৃত চিকিৎসকের বাবা শেখ হাফিজুল ইসলাম যদিও তাঁর ছেলের মৃত্যু আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলে মানতে চান নি । তাঁর অভিযোগ, “তাঁর ছেলে মোবারক হোসেন কে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে”। এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল সুহৃতা পাল বলেন,“চিকিৎসক শেখ মোবারক হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার কথা পুলিশকে বলা হয়েছে।প্রয়োজনে ফরেন্সিক টিম এনে তদন্ত করা হবে ।’।