দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৫ সেপ্টেম্বর : বছর বাহান্নর এক প্রৌঢ়ের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার গোপখাজি গ্রামে । মৃতের নাম মঙ্গল মাজি(৫২)। তাঁর বাড়ি একই থানা এলাকার নসিপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় । রবিবার সকালে গোপখাজি গ্রামে একটি পুকুরপাড় থেকে তাঁর মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ । মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং পা বাঁধা অবস্থায় ছিল বলে জানা গেছে । পরিবারের অভিযোগ মঙ্গল মাজিকে পিটিয়ে মারার পর ওই পুকুরের পাড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে । মৃতের মেয়ে বাণী মাজি এনিয়ে গোপখাজি গ্রামের বাসিন্দা পবন মুর্মু, অজয় মুর্মু, জোৎস্না মুর্মু, মেণকা মুর্মু ও মঙ্গল মুর্মু বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারা অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পবন ও মঙ্গলকে গ্রেফতার করেছে । পুলিশ জানিয়েছে,বাকি অভিযুক্তরা পলাতক । তাদের সন্ধান চলছে । পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান,মদ্যপ অবস্থায় বচসার জেরেই খুন হয়েছেন মঙ্গল । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।
জানা গেছে,নসিপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মঙ্গল মাজি জনমজুরির কাজ করতেন । তাঁর ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে । বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ফুলমণি, স্বামী পরিত্যক্তা বড় মেয়ে বাণী,ছেলে রাজা, ভুইসা এবং রাজার স্ত্রী টুম্পাদেবী । সকলেই জনমজুরির কাজ করেন । বাকি দুই ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন । পরিবার সুত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল তিনটে নাগাদ মাঠে কাজ সেরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন মঙ্গল । তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি । পরে রাত্রি প্রায় বারোটা নাগাদ গোপখাজি গ্রামের বাসিন্দা পবন মুর্মু ও তার স্ত্রী মেণকা এসে খবর দেন গোপখাজি বনপুকূর পাড়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন মঙ্গল মাজি । মৃতের মেয়ে বাণী মাজি বলেন,’খবর পেতেই আমরা বনপুকূর পাড়ে যাই । গিয়ে দেখি বাবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন । দু’পা মশারি দিয়ে বাঁধা রয়েছে । আমাদের সন্দেহ বাবাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ।’
খবর পেয়ে এদিন সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার করে আনে কাটোয়া থানার পুলিশ । পরে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি হাসপাতালে পাঠানো হয় ।।