এইদিন ওয়েবডেস্ক,মোরাদাবাদ,১৭ মার্চ : মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে । তবে ঠিক কত লক্ষ রোহিঙ্গা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে তার সঠিক সংখ্যা আজও অজানা দেশবাসীর । এদিকে এদেশে এক শ্রেণীর অসাধু চক্রের সহায়তায় রোহিঙ্গারা ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ যাবতীয় শংসাপত্র তৈরি করে সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে যাচ্ছে । এবারে তেলেঙ্গানার বালাপুর থানার পুলিশ এমন এক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীর সন্ধান পেয়েছে, যে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের এক এজেন্টের সহায়তায় মাত্র ২ দিনের মাথায় জন্মের শংসাপত্র জোগাড় করে ফেলেছে । মোহাম্মদ ফারুক ওরফে মোহাম্মদ ইসমাইল নামে মিয়ানমারের ওই রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে তেলেঙ্গানার বালাপুর থানার পুলিশ । তদন্তে পুলিশের হাতে একটি সন্দেহজনক মোবাইল নম্বরও ধরা পড়েছে । সেই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ এখন ভয়ঙ্কর এই প্রতারণা ও জালিয়াতির চক্র ফাঁস করতে ব্যস্ত ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,তেলেঙ্গানার বালাপুর থানায় নিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর বি শ্রীকান্ত ইউপির মোরাদাবাদের কাঁথ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন । অভিযোগে সাব-ইন্সপেক্টর বলেছেন, ২০১৬ সালে মিয়ানমার থেকে আসা এক রোহিঙ্গা মুসলিমকে পাসপোর্ট জারি করেছিল উত্তরপ্রদেশের বেরেলি পাসপোর্ট অফিস । পরে ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর জানা যায় ওই রোহিঙ্গারা মূলত মিয়ানমার থেকে সৌদি আরব হয়ে তেলেঙ্গানায় পৌঁছেছিল। সে রাঙ্গা রেড্ডিতে বালাপুর গ্রাম মন্ডলের রয়্যাল কলোনির ১ নম্বর ক্যাম্পে থাকছিল ।
জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক জানায়, মোরাদাবাদের কাঁথ থানা এলাকায় অবস্থিত আকবরপুর ছেন্দ্রি গ্রামের ঠিকানা দেখিয়ে সে পাসপোর্টটি তৈরি করা করেছিল । ফারুক জানায়, পাসপোর্ট তৈরিতে তাকে সহায়তা করেছিল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস নামে এক ব্যক্তি । এদিকে ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ তহসিলের সমস্ত রাজস্ব রেকর্ড নতুন করে যাচাই করে । কিন্তু ছেন্দ্রি গ্রামে মোহাম্মদ ফারুক নামে কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি । এমনকি গ্রামে ফারুকের উপস্থিতি বা অন্য কোনো তথ্য দিতে অস্বীকার করে গ্রামবাসীরা।
যে নথির ভিত্তিতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে ফারুকের পাসপোর্ট ফর্মের সঙ্গে সংযুক্ত জন্ম শংসাপত্র আবেদনের দ্বিতীয় দিনেই দেওয়া হয়েছিল । এই বিষয়ে কন্ঠের সিও ডাঃ গণেশ কুমার গুপ্ত বলেন, ফর্মে দেওয়া মোবাইল নম্বর পুলিশের হাতে রয়েছে। সেই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে ঘটনার তদন্ত চলছে । আশা করছি খুব শীঘ্রই এই জালিয়াতির চক্রের সন্ধান মিলবে ।।