বিশ্ব থেকে অনান্য ধর্মাবলম্বীদের নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন জন্মলগ্ন থেকেই দেখে আসছে ইসলামিক কট্টরপন্থীরা । আর সেই লক্ষ্যে মুসলিমরা ‘হিজরত’ করে । ‘হিজরত’ শব্দটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ দেশত্যাগ, ছেড়ে দেওয়া, বর্জন করা, ফেলে আসা ও স্থানান্তরিত হওয়া। যদিও বলা হয় যে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে মাতৃভূমি ত্যাগ করে অন্য কোন দেশে যাওয়াকে হিজর বলে । কিন্তু এর আসল উদ্দেশ্য হল অমুসলিম দেশের জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে ইসলামের প্রতিষ্ঠা করা । অমুসলিমদের কথিত ধর্মনিরপেক্ষ উদার মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে এবং তাদের সাহায্য নিয়ে নিঃশ্বব্দে নিজেদের জনসংখ্যা বাড়িয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের শাসন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্র দীর্ঘ দিন ধরেই চলে আসছে । সদ্য কট্টরপন্থী ইসলামিক রাষ্ট্র হয়ে ওঠা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম মনে করছে যে এভাবে আর ১৯ বছরের মধ্যেই গোটা বিশ্ব মুসলিমদের দখলে আসবে । এক্ষেত্রে তারা বুলগেরিয়ান ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বাবা ভাঙার কিছু ভবিষ্যৎবাণীকে হাতিয়ার করেছে ৷ বাংলাদেশের ‘দৈনিক জনকন্ঠ’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি এখানে তুলে ধরা হল :
টুইন টাওয়ারে হামলা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ,প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যু কিংবা চেরনোবিল বিপর্যয়, যুগান্তকারী এই ঘটনাগুলোর ভবিষ্যতবাণী করে যান বাবা ভাঙা।
২০২৫ সাল নিয়েও ভবিষ্যতবাণী দিয়ে গেছেন তিনি। যখন সিরিয়ার পতন হবে, তখন পশ্চিম ও পূর্বের মধ্যে শুরু হবে সর্ববৃহৎ যুদ্ধ। কোনো এক বসন্তে এই সংঘাতে পুড়বে বিশ্বের পূর্বপ্রান্ত। আর এতেই শুরু হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যা পশ্চিমাদের জন্য ডেকে আনবে ধ্বংস। প্রায় চার দশক আগে সিরিয়াকে নিয়ে এই ভবিষ্যতবাণী করে যান বাবা ভাঙা। শুধু তাই না, এই নারী পূর্বাভাস দিয়েছেন, ২০৪৩ সালের মধ্যে পুরো বিশ্বজুড়ে শাসন করবে মুসলিমরা। এরও ৩৩ বছর পর ২০৭৬ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে আবারো ফিরে আসবে কমিউনিজম।
বাবা ভাঙা, যাঁর পুরো নাম ছিল ভ্যানজেলিয়া পান্দেভা গুষতেরোভা, ছিলেন একজন প্রখ্যাত বুলগেরিয়ান ভবিষ্যদ্বক্তা। তাঁকে “বলকানের নস্ট্রাদামাস” বলা হয়। ১৯১১ সালের ৩১ জানুয়ারি ওসমান সাম্রাজ্যের অংশ স্ট্রুমিসাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছোটবেলায় একটি দুর্ঘটনায় তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। তবে এই দৃষ্টিহীনতাই তাঁর অন্যান্য ইন্দ্রিয়কে তীক্ষ্ণ করে তোলে এবং তিনি ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা অর্জন করেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন: ১৯৯১ সালের আগে তিনি এই পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
চেরনোবিল বিপর্যয়: ১৯৮৬ সালের এই পারমাণবিক বিপর্যয় তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে মিলে যায়।
৯/১১ হামলা: “ইস্পাত পাখি” আমেরিকা আক্রমণ করবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বাবা ভাঙার ভবিষ্যদ্বাণীগুলি মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তাঁর কিছু ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হলেও অনেকগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তবুও, তাঁর জীবন ও কাজ মানবজাতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।।