এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,১৮ ডিসেম্বর : পাকিস্তান ও তার দোসর বাংলাদেশে ব্যাপক ভাবে ভারত বিদ্বেষ বেড়ে গেছে । গত কাল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসে হামলা চালিয়েছে বাংলাদেশ জামাত-ই-ইসলামির জিহাদিরা ৷ তারপর বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । দু’দেশের সম্পর্ক এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে । এদিকে পাকিস্তানের জামাত-ই-ইসলামি (Pakistan’s Jamaat-e- Islami) দলের প্রাক্তন নেতা সিরাজুল হক (Sirajul Haq) জম্মু-কাশ্মীর দখলের ডাক দিয়েছে । তার একটা ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ।
সেই ভিডিওতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফকে (Pakistan’s Defense Minister Khawaja Asif) উদেশ্য করে বৃদ্ধ সিরাজুল হককে বলতে শোনা গেছে, ‘আমি খাজা আসিফকে বলতে চাই, আপনি যদি এতই পালোয়ান হন এবং বিজয়ী হতে চান তাহলে কাশ্মীরকে মুক্ত করুন । কাশ্মীরে দুই লাখ ভারতীয় সেনা মজুত রয়েছে । কাশ্মীরে নরসংহার হচ্ছে । কাশ্মীরে জুলুম হচ্ছে । কাশ্মীরে সমস্ত যোদ্ধারা জেলে আছে ।’ ওই বৃদ্ধ সন্ত্রাসী আরও বলেছে,’পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ভাতৃত্ব ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই । আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দেওয়া বন্ধ করুন ।’
প্রসঙ্গত,ভারতে হামলার জন্য পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর(পিওকে)কে ইসলামি সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি করে রেখেছে পাকিস্তান । ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় এমন ১০-১২ টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা । সন্ত্রাসী ঘাঁটি বানানোর প্রতিবাদ করায় প্রায়ই পিওকে-এর সাধারণ মানুষের উপর পাকিস্তানের সেনার অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে । পাশাপাশি পিওকে-এর সাধারণ মানুষদের মৌলিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখার অভিযোগও ওঠে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে । এই কারনে বহু দিন থেকেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে সেখানে । পিওকে -এর বাসিন্দারা পাকিস্তানি সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রায়ই জনসমাবেশ করে এবং ভারতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আওয়াজ তোলে । অবৈধভাবে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের একটা বড় অংশ দখল করে রেখেও পাকিস্তান সরকার ও তাদের আশ্রিত ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি ভারতের জম্মু-কাশ্মীরকে দখল করার স্বপ্ন দেখে আসছে দীর্ঘদিন ধরে৷ যদিও সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর শ্রীঘ্রই ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে ।।

