এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিরাজগঞ্জ,২২ অক্টোবর : মহাসপ্তমীর শুরু থেকেই বাংলাদেশে একের পর এক দূর্গাপূজো মণ্ডপে ইসলামি জিহাদিদের দ্বারা নিশানা করার খবর প্রকাশ্যে আসছে । শনিবার মহাসপ্তমীর দিন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি দূর্গামন্দিরে গোমাংশ ফেলে রাখার ঘটনা ঘটেছে । একই দিনে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর এলাকার মির্জাপুর সোমপাড়ার দুর্গা পূজামণ্ডপে কোরান রেখে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টার ঘটনাও ঘটেছে । এবারে গায়ে কাদা মেখে পাগল সেজে দূর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা করল এক মুসলিম যুবক । মহাসপ্তমীর পূজা চলাকালীন বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ স্টেডিয়াম সংলগ্ন দূর্গাপুজা মন্দিরে ঢুকে আধলা ইঁট নিয়ে দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পূজো উদ্যোক্তারা তাকে ধরে ফেলে । পরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ও পুলিশ সদস্য থাকায় তাকে ধরে ফেলে ।
সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে,ওই মুসলিম যুবক মাথায় ও মুখে কাদা মেখে পাগল সেজে সিরাজগঞ্জ স্টেডিয়াম সংলগ্ন দূর্গাপুজা মন্দিরে আসে । তার দু’হাতে ছিল দুটো ইঁট । সে সোজা মন্দিরের ভিতরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুর এর চেষ্টা চালাতে গেলে পূজো উদ্যোক্তারা তাকে ধরে ফেলে । পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । ঘটনার পর সেখানে সিরাজগঞ্জ জেলা পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি কানুবাবু এবং সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা উপস্থিত হন । তারা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দ পুলিশের সাথে কথা বলেন। খবর পেয়ে উপস্থিত হন পুলিশ সুপারও । এরপর পুলিশ যুবককে আটক করেন জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে বিভিন্ন ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কথা বলতে শুরু করে ।
পুলিশ জানতে পেরেছে,বছর ২৩ এর ওই মুসলিম যুবকের বাড়ি সিরাজগঞ্জের মালশাপাড়া এলাকায় । সে আদপেই পাগল নয় । পাগল সেজে এসে মূলত প্রতিমা ভাঙচুর চালানোই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য । এদিকে বাংলাদেশে দুর্গোৎসবের চলাকালীন একের পর এক পূজোমণ্ডপে জিহাদি হামলার ঘটনা ঘটতে থাকায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ।।