এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজকোট(গুজরাট),০২ নভেম্বর : গুজরাটের রাজকোটে ১৩ বছরের হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে এক মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । মেয়েটি নবম শ্রেণীর ছাত্রী । অভিযোগ,অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরেই ওই নাবালিকাকে অনুসরণ করছিল ওই যুবক । অপহরণের দিন মেয়েটি যখন স্কুলে পৌঁছায়, তখন তাকে স্কুলের গেট থেকেই সে অপহরণ করে । তবে অপহরণের মামলা পর দায়ের হতেই পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে অভিযুক্তকে দ্বারকাগামী ট্রেন থেকে গ্রেপ্তার করে । তার কাছ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ । ধৃতের নাম আরিয়ান শসিফ বালোচ ।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, রাজকোটের হুডকো মার্কেটে সবজি বিক্রি করে আরিয়ান শসিফ বালোচ নামে ওই মুসলিম যুবক । অন্যদিকে রাজকোটের কোথারিয়া রোডের একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী অপহৃতা কিশোরী । গত ৩০ অক্টোবর দুপুরে মেয়েটির দিদিমা তাকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান । এদিকে গোপনে মেয়েটিকে অনুসরণ করছিল আরিয়ান শসিফ বালোচ । মেয়েটির দিদিমা চলে যেতেই দুপুর ১২ টা নাগাদ অভিযুক্ত শসিফ তাকে স্কুলের গেট থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় । এদিকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেয়েটি বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন । কিন্তু কোনো সন্ধান না পেয়ে কিশোরীর মামা ভক্তিনগর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ পেতেই সক্রিয় হয় পুলিশ । ভক্তিনগর পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে আরিয়ান শসিফ বালোচের উপর । তার ভিত্তিতে অভিযুক্তের বাবাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং জানতে পারে যে অভিযুক্ত দোকান বা বাড়িতে উপস্থিত ছিল না । সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল লোকেশনের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছিল যে অভিযুক্ত আরিয়ান শসিফ বালোচের ফোনের বর্তমান অবস্থানটি ছিল রাজকোট রেলওয়ে স্টেশন। শেষে ওইদিন রাতেই রাজকোট রেলস্টেশনে দ্বারকাগামী একটা ট্রেন থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় মেয়েটিকে ।
পুলিশ জানতে পারে যে আরিয়ান শসিফ বালোচ দ্বারকায় পালিয়ে গিয়ে ওই হিন্দু কিশোরীকে বিয়ে করার মতলব করেছিল । নাবালিকার মামার অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ ধৃত আরিয়ান বালোচের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৫৪(কে) এবং পকসো আইনের ৮ ধারায় মামলা দায়ের করেছে ।
কিশোরীর পরিবার সূত্রে খবর,হুডকো মার্কেটে আরিয়ান শসিফ বালোচের দোকানের পাশেই শব্জির দোকান রয়েছে কিশোরীর বাবার । বাবার দোকানে যাতায়াতের সূত্রে মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় করে প্রেমের জালে ফাঁসায় আরিয়ান বালুচ । সে ওই কিশোরীর নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছে । তার কাছে কিশোরীর অসংলগ্ন মুহুর্তের কিছু ছবিও রয়েছে এবং সেগুলির মাধ্যমে সে কিশোরীকে ব্ল্যাকমেইল করত বলে অভিযোগ । পরিবারের দাবি,মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হোক যাতে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় ।।