এইদিন ওয়েবডেস্ক,প্রয়াগরাজ,০৩ জানুয়ারী : অনেক ঘাতপ্রতিঘাতের পরেও এখনো প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমের মহাকুম্ভে প্রচুর শ্রদ্ধালু পূণ্যস্নান করছেন । এরই মাঝে মহাকুম্ভে একজন মুসলিম মহিলার কর্মকাণ্ড সকলকে চমকে দিয়েছে । উজমা সৈয়দা পারভীন নামে লখনউয়ের বাসিন্দা ওই মুসলিম মহিলা প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে এমন কিছু করেছেন, যার পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হচ্ছেন ।
প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে এসেছেন কোটি কোটি মানুষ। পুরো প্রয়াগরাজ মানুষে পরিপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে উজমা সৈয়দা পারভীন নামে ওই মহিলা লখনউ থেকে প্রয়াগরাজ পৌঁছে সেখানে ভক্তদের খাবার, জল এবং ওষুধপত্র সরবরাহ শুরু করেন। সেই ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করে উজমা সৈয়দা পারভীন লিখেছেন ‘মহাকুম্ভে আহত ও দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য করার সুযোগ পেয়েছি। আপনারা সকলে দয়া করে আমাকে আপনাদের প্রার্থনায় স্মরণ করুন। একইভাবে আমাদের সকল দেশবাসীর সেবা চালিয়ে যাওয়া উচিত কারণ সেবা ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যায়।’ ভিডিও এর ব্যাকগ্রাউন্ডে তিনি একটি দেশাত্মবোধক গান যংযুক্ত করেছেন ।
প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে ভারত ও বিদেশ থেকে লাখ লাখ ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে পূণ্যস্নান করতে আসছেন। কুম্ভে আগত ভক্তদের সহায়তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেক ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আখড়ার পক্ষ থেকে ভান্ডারেরও আয়োজন করা হচ্ছে। এদিকে, মহাকুম্ভে আসা লোকদের বিনামূল্যে ওষুধ ও খাবার বিতরণ করতে দেখা গেছে উজমা সৈয়দ পারভীনকে। ভক্তদের খাবার, জল ও ওষুধের কিট দিয়েছেন । মানুষ তার সেবার অনেক প্রশংসা করছে।কোভিডের সময়ও তিনি বিনামূল্যে মানুষকে সাহায্য করেছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক ভিডিও দেখা গেছে, যাতে উজমা সৈয়দ পারভীনকে কুম্ভে আসা লোকদের সাহায্য করতে দেখা যায়। তিনি একটি গাড়ির ট্রাঙ্ক থেকে জিনিসপত্র বের করে মানুষের মধ্যে বিতরণ করছেন। তিনি মাটিতে বসে থাকা আহত মহিলাদের মধ্যে যান এবং তাদের ওষুধ, খাবার এবং জলের বোতল দেন দ । আমরা আপনাকে বলি যে করোনা মহামারী চলাকালীন, তিনি পরিবারের খরচ বাঁচিয়ে শ্রমিকদের খাওয়াতে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিলেন।
কোভিড-এ পারভীনের সাহায্য করার একটি ভিডিওও প্রকাশিত হয়েছে। এতে তিনি বলেন, আমাকে ও আমার পরিবারকে ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমি আমার দেশকে খুব ভালোবাসি। সেজন্য আমি আমার সন্তানদের স্কুলের ফি বাঁচিয়ে রেখেছিলাম। সেটিও এই স্যানিটাইজেশনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছিল, তাদের খাওয়ানোর জন্য প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু আমাকে গৃহবন্দী করা হয়। প্রসঙ্গত,
উজমা সৈয়দ পারভীন এআইএমআইএম পার্টির নেত্রী । বোরকা পরা নারী হিসেবে তিনি বিখ্যাত। তিনি লক্ষ্ণৌতে সিএএ-এনআরসি-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রধান মুখ ছিলেন। এর পরে তিনি ইউপি বিধানসভা নির্বাচনের সময় এআইএমআইএম-এ যোগ দেন। কানপুরে তাকে দলের সদস্যপদ দিয়েছিলেন আসুদ্দিন ওয়াইসি।।