এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজকোট(গুজরাট),০৫ জানুয়ারী : হিন্দু যবককে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মুসলিম তরুনী । তাদের একটি পুত্রসন্তানও হয় । কিন্তু বাপের বাড়ির পাল্লায় পড়ে স্বামীকে না জানিয়েই চার বছরের ছেলেকে বাপের বাড়ি নিয়ে গিয়ে খৎনা করে নিয়ে আসেন ওই মহিলা । চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের রাজকোটের টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কাছে তুলসি পার্ক এলাকায় । এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই হিন্দু যুবক তার মুসলিম স্ত্রী রুখসার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একটা মামলা রজু করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যুবক জানিয়েছেন, রুখসারের সাথে তার আন্তঃধর্মীয় প্রেমের গল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল, বিয়েতে পরিণতি পায় তাদের প্রেম । দম্পতির একটা পুত্রসন্তান হয় । তারা ২০২৪ সালের ২১ শে ডিসেম্বরের ঘটনা পর্যন্ত সুখে সংসার করছিলেন । কিন্তু ওই হিন্দু যুবক যখন চাকরির স্বার্থে এক সপ্তাহের জন্য দূরে ছিলেন তখন তার স্ত্রী এই কান্ড ঘটিয়ে দেয় ।
ফিরে আসার পর, তিনি একটি অপ্রত্যাশিত এবং কষ্টদায়ক দৃশ্যের মুখোমুখি হন যখন তার শিশুপুত্র তার লিঙ্গে ব্যথার কথা জানায় । যুবক তার ছেলের লিঙ্গ পরীক্ষা করতে গিয়ে শিশুটির যৌনাঙ্গের চারপাশে মোড়ানো পাতা দেখতে পান, যা কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের খতনা-পরবর্তী একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা। বিষয়টি নিয়ে যুবক তার স্ত্রী রুখসারকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার মায়ের সহায়তায় তার অনুপস্থিতিতে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার কথা স্বীকার করে। এরপর যুবক বিশ্ববিদ্যালয় থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । তিনি রুখসার, তার মা, অজ্ঞাতনামা ডাক্তার যিনি খতনা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন এবং জামায়াতে ইসলামীর একজন সদস্যকে তার অজান্তে বা সম্মতি ছাড়াই এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য অভিযুক্ত করেন।পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তারা সক্রিয়ভাবে মামলাটি তদন্ত করছে, তবে এই পর্যায়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
প্রতারিত ওই হিন্দু যুবক তার যন্ত্রণার কথা প্রকাশ করে জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে বিবাহের পরে পিতার ধর্ম অনুসরণ করা উচিত পুত্রের, যার ফলে খতনাকে পিতামাতা হিসাবে তার অধিকারের বিরুদ্ধে কাজ বলে মনে করে। দ্বন্দ্বের সময় তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মৌখিক গালিগালাজ এবং অসম্মানের অভিযোগ এনেছিলেন । এদিকে রুখসার তাদের ছেলের সাথে চলে গেছে বলে জানা গেছে, এবং বাবা তার শাশুড়ির কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই যুবক । এই ঘটনাটি ধর্মীয় রীতিনীতি, আন্তঃধর্মীয় বিবাহে সম্মতি এবং তাদের সন্তানদের ধর্মীয় লালন- পালনকে প্রভাবিত করে এমন সিদ্ধান্তে পিতামাতার উভয়ের অধিকার নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।।