এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৬ মার্চ : পশ্চিমবঙ্গে মুসলমান জনসংখ্যা ৩০ শতাংশের অধিক । প্রতিটি নির্বাচনে ভোট ব্যাংকে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় মুসলমানদের ভোট । আর সেই ভোটের টানে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোষামোদের বারবার অভিযোগ তুলে আসছে বিজেপি । আর এই কারনে মুসলিম ভোট ব্যাংকে ‘খুব বিচিত্র জিনিস’ বলে অভিহিত করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় । তার কথায় মসজিদে ‘খুৎবা’য় ঠিক হয় মুসলিম সম্প্রদায় কাকে ভোট দেবে । আর সেই অনুযায়ী মুসলিম সম্প্রদায় লোকজন ‘ভেড়ার পালের মত সবাই এক জায়গায় ভোট দেন’ বলে মন্তব্য করলেন তথাগতবাবু ।
আজ এনিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটা পোস্ট করেছেন তথাগত রায় । তিনি লিখেছেন,’মুসলমানের ভোট খুব বিচিত্র জিনিস ।আমাদের মিঞাভাইরা খুব সাবধানে অঙ্ক কষে ঠিক করেন কাকে ভোট দেবেন, এবং তারপর শুক্রবারের নামাজ-পরবর্তী ‘খুৎবা’ মারফত মুসল্লিদের বলে দেন । তারপর মিঞাভাইরা ভেড়ার পালের মত সবাই এক জায়গায় ভোট দেন। এইজন্য তথাকথিত সেকুলার দলের এদের ভোটার জন্য ল্যা ল্যা করে।’
মুসলিমদের নিজস্ব ভোট অংকের হিসাবও বলে দিয়েছেন তিনি । তিনি এই বিষয়ে লিখেছেন,’এঁদের অঙ্কটা কি রকম? না, একমাত্র বিজেপিই আমাদের তোয়াজ করে না, বাকি সব দল তো আমাদের লুঙ্গি ধরে ঝুলে আছে। তাই ভোট দিতে হবে তাদের, যারা বিজেপিকে হারাতে পারবে। তাই ভোট বিহারে লালুকে, উত্তরপ্রদেশে মুলায়েমকে, অসমে আজমলকে, গুজরাটে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে । আর এই পোড়া পশ্চিমবঙ্গে মমতাকে ।’
এরপর তথাগত রায় লিখেছেন,’এর জন্য তথাকথিত সেকুলার দলগুলি মুসলমানদের নানারকম অন্যায় সুবিধা দেয় । এবং তার মাশুল দিতে হয় হিন্দুদের ।দোষ মুসলমানদের নয়, তাদের গোষ্ঠীস্বার্থবোধ অত্যন্ত টনটনে, তারা নিজেদেরটা ঠিক বুঝে নেয়। বোঝে না হিন্দুরা । বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা দেখেও বোঝে না । বুঝবে যখন, তখন বড় দেরি হয়ে গেছে ।’
প্রসঙ্গত, ভোটদানের বিষয়ে মুসলিমদের এই এককাট্টা মানসিকতার কারণে হিন্দু ভোট ব্যাংকে জোট বদ্ধ করার বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এই কারণে তার প্রধান রাজনৈতিক এজেন্ডা হলো ‘হিন্দুত্ববাদ’ । যা তথাগত রায়ের কথায় ‘সঠিক নীতি’ । তিনি এই প্রসঙ্গে খোলাখুলি শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থনও করেছেন একাধিকবার । দিলীপ ঘোষের জমানায় রাজ্য বিজেপি কট্টর হিন্দুত্ববাদকে তেমন প্রাধান্য না দিল বর্তমানে শুভেন্দুর দেখানোর রাস্তাতেই হাঁটছে দলটি । শুভেন্দু অধিকারী কথায়, আর ৪-৫ শতাংশ হিন্দু ভোটব্যাংকে একত্রিত করতে পারলেই এরাজ্যে মমতা ব্যানার্জির জমানার অবসান ঘটানো সম্ভব । এখন দেখার বিষয় শুভেন্দুর সেই ইচ্ছা কতটা পূরণ হয় ২০২৬-এর বিধানসভার ভোটে ।।