এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু-কাশ্মীর,০৩ জুন : কাশ্মীরে নব্বইয়ের দশকের আতঙ্ক ফিরিয়ে আনতে সফল হল মুসলিম সন্ত্রাসবাদীরা । কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রতিশ্রুতিমত ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরি হিন্দু পরিবারগুলিকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিল । কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে পাকিস্থানি পৃষ্ঠপোষক সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা একের পর এক টার্গেট কিলিংয়ের কারনে কাশ্মীরি হিন্দুদের মধ্যে চরম আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে । তাঁরা আতঙ্কে উপত্যকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন ।
বৃহস্পতিবার (২ জুন ২০২২) কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিজয় কুমারকে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি করে খুন করে । আর তারপরের দিনেই কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংখ্যালঘু হিন্দু সরকারি কর্মীরা ।
সংবাদ মাধ্যমের খবর,বিজয় কুমারকে খুনের পর কাশ্মীরি হিন্দুদের সংগঠন কাশ্মীরি সংখ্যালঘু ফোরাম একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছিল । শুক্রবার সকালের মধ্যে উপত্যকায় বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের স্থানান্তর করার জন্য বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় । এনিয়ে সংগঠনের তরফ থেকে একটি বিবৃতিও জারি করা হয় । আর তার পরেই একে একে কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করে হিন্দুরা । রিপোর্ট অনুযায়ী, বিভিন্ন সরকারি বিভাগে কর্মরত ৪০০০ এর বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিত উপত্যকা ছাড়তে ইচ্ছুক ।
প্রসঙ্গত,গত ৩১ মে জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার একটি স্কুলে ঢুকে রজনী বালা (৩৬) নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে গুলি করে খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা । স্কুলে মুসলিম শিক্ষক থাকলেও তাদের কিছু করা হয়নি । টার্গেট করা হয় শুধুমাত্র রজনীদেবীকে । রজনী বালা সাম্বা জেলার বাসিন্দা ছিলেন । কিন্তু কুলগামের গোপালপোড়ার একটি সরকারি স্কুলে তাঁকে পোস্ট করা হয়েছিল । রজনীদেবীকে হত্যার আগে বুদগামে রাজস্ব বিভাগের অফিসে ঢুকে রাহুল ভাট নামে এক আধিকারিককে গুলি করে খুন করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা । শুধুমাত্র মে মাসেই ৮ টি টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটে কাশ্মীরে ।।