এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু-কাশ্মীর,০৪ জুন : জম্মু-কাশ্মীরে নব্বইয়ের দশকের আতঙ্ক ও অস্থিরতা ফিরিয়ে আনতে ‘হাইব্রিড সন্ত্রাসী’দের (hybrid terrorists) ব্যবহার শুরু করেছে পাকিস্থান । উপত্যকার স্থানীয় কট্টরপন্থী মুসলিম যুবকদের কাজে লাগিয়ে একের পর এক সংখ্যালঘু হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে । বিগত ২৬ দিনে ১০ জনকে খুন করেছে সন্ত্রাসবাদীরা ৷ ফলে আতঙ্কে বহু হিন্দু উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন । ফের দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানে পরিযায়ী শ্রমিকদের টার্গেট করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,শোপিয়ানের আগলার জাইনাপোরা এলাকায় একটি বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয় দুই পরিযায়ী শ্রমিক । প্রথমে ঘটনাটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ মনে করা হলেও পরা জানা যায় এটি সন্ত্রাসবাদীদের হামলা । ওই দুই পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়েছিল হাইব্রিড টেরোরিস্টরা । বর্তমানে গোটা এলাকাটি ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তাবাহিনী । এদিকে এই হামলার ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে ।
প্রসঙ্গত,’হাইব্রিড টেরোরিস্ট’ সাধারনত স্থানীয় বাসিন্দারা হয় । তার লস্কর-ই-তৈয়বাসহ পাকিস্থান পৃষ্ঠপোষক (sponsored) বিভিন্ন নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে গোপনে যোগসুত্র রেখে দেয় । নাশকতা চালানোর পর ফের তারা মূলস্রোতে ফিরে যায় । ফলে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে যায় । বর্তমানে তারা হামলার প্রকৃতিও বদলে ফেলেছে । একে-৪৭ এর পরিবর্তে স্টিকি বোমা(sticky bombs) এবং চীনের তৈরি উন্নত ছোট অত্যাধুনিক পিস্তল দিয়ে হামলা চালাচ্ছে । কারন ওই ধরনের বিস্ফোরক বা আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা সহজ এবং চট করে নজরে পড়েনা, তাই কাশ্মীরে টার্গেট কিলিংয়ের জন্য মূলত এই দুই প্রকার অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা । সরকারী কর্মী রাহুল ভাট,
ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিজয় কুমার এবং স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যাকান্ডে একই পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা । এই পরিস্থিতিতে দাবি উঠছে,প্রথমত উপত্যকার হিন্দুদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক । আত্মরক্ষার্থে তাদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হোক লাইসেন্সড আগ্নেয়াস্ত্র । পাশাপাশি ‘হাইব্রিড টেরোরিস্ট’দের পরিবারগুলিকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক । প্রয়োজনে ইউপি ও এমপি সরকারের মত ব্যবহার করা হোক বুলডোজার । এদিকে শুক্রবার দিল্লিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং,এনএসএ অজিত দোভালের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন জম্মু কাশ্মীরের এলজি মনোজ সিনহা । এখন উপত্যকার হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারত সরকার কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার ।।