এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভোপাল,৩১ মে : আন্তঃধর্মীয় বিবাহকে সাধারণ স্বীকৃতি দিতে চায় না ভারতীয় সমাজ । কোনো হিন্দু মেয়ে তার মুসলিম প্রেমককে বিয়ে করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাকে তার মূল সমাজ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয় । অন্যদিকে মুসলিম মেয়ে তার হিন্দু প্রেমিককে বিয়ে করলে তাকে পরিবার ও সমাজ থেকে হুমকির মুখে পড়তে হয় । এখন ধর্মীয় দৃষ্টিকোন দিয়ে দেখলে মুসলিম মেয়েকে স্বীকার করতে হিন্দু ধর্মে তেমন কোনো বাধা নেই । কিন্তু আন্তঃধর্মীয় বিবাহের ক্ষেত্রে মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে কি বিধান আছে ? এই বিষয়ে একটা যুগান্তকারী বিবৃতিতে, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট স্পষ্ট করেছে যে একটি মুসলিম ছেলে এবং একটি হিন্দু মেয়ের মধ্যে বিয়ে মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের অধীনে বেআইনি । পাশাপাশি বিশেষ বিবাহ আইন-৯৫৪-এর অধীনে আন্তঃধর্মীয় বিবাহ নিবন্ধনের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে করা একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আসলে মধ্যপ্রদেশের অনুপপুর জেলার এক দম্পতি সারিকা সেন এবং সাফিক খান পিটিশন দাখিল করে আদালতকে জানান যে দুজনেই বিবাহিত। এখন তারা তাদের বিয়ে নিবন্ধন করতে চায়। তার বিয়ের বিরোধিতা করেছে ওই নারীর পরিবার। এমনকি তার সম্প্রদায় তাকে বহিষ্কারের কথা বলেছে। পরিবারের সদস্যরা বিয়ের বিরুদ্ধে থাকায় তারা তহসিলদার অফিসে গিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য পুলিশি নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেন। পাশাপাশি আবেদনকারীর পক্ষে হাইকোর্টকে বলা হয়, নারী বা পুরুষ কেউই বিয়ের জন্য অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ করতে চান না । মহিলা হিন্দু ধর্ম পালন করে চলবেন এবং পুরুষ বিয়ের পরও ইসলাম মেনে চলবেন।
কিন্তু মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি জিএস আহলুওয়ালিয়ার সিঙ্গেল বেঞ্চ বলেছে যে একজন মুসলিম পুরুষ এবং একজন হিন্দু মহিলার মধ্যে বিবাহকে মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে বেআইনি বলে গণ্য করা হয়, এমনকি এটি বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিবাহ হলেও। প্রকৃতপক্ষে, মুসলিম ব্যক্তিগত আইন অনুসারে, একজন মুসলিম ছেলের সাথে মূর্তিপূজক বা অগ্নিপূজক মেয়ের বিয়ে বৈধ নয় । যদি তারা বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিবাহিতও হয় তাহলে ওই বিবাহ তা “অনিয়মিত” বলে বিবেচিত হবে ।।