এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৪ জুলাই : ফের সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হল বাংলাদেশের হিন্দুরা । এবারে খোদ বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে ঢাকার মিরনজিল্লা হরিজন পল্লীর হিন্দুদের উপর ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে । মারধর,ভাঙচুর এবং হিন্দুদের উপর ব্যাপক ইঁটপাটকেল ছোড়ে মুসলিমরা । হামলায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৬০ জন হিন্দু । আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় । তাদের মধ্যে অনেককে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গত,মিরাঞ্জিলা কলোনি এলাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে । এলাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস । মাস খানেক আগে কর্পোরেশন তাদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় । ভেঙ্গে ফেলা হয় বহু ঘরবাড়ি। কিন্তু দেশব্যাপী ক্ষোভের পর কর্পোরেশন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও, কর্পোরেশন উচ্ছেদ হওয়া হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয় হাসিনা সরকার । কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর মুহাম্মদ আউয়াল হোসেন হিন্দুদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ।
জানা গেছে,মিরাঞ্জিলা কলোনির বাস্তুচ্যুত হিন্দুদের পুনর্বাসনের জন্য নবনির্মিত কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিতে গত বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান ঢাকায় আসেন । কিন্তু কাউন্সিলর মুহাম্মদ আউয়াল হোসেন তার দলবল জুটিয়ে সেখানে চলে এসে বাস্তুচ্যুত হিন্দুদের পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে । এরপর লাঠিসোঁটা ইঁটপাটকেল নিয়ে হিন্দুদের উপর ব্যপক হামলা চালায় মুসলিকরা । প্রাণ বাঁচাতে যে যেদিকে পারে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় । অসহায় হিন্দু মহিলারা আতঙ্কে কান্নাকাটি শুরু করেন । মুসলিমদের হামলায় বহু হিন্দু পুরুষ ও মহিলা আহত হয় ।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট । সংগঠনের ফেসবুক পেজে বেশ কিছু আহতের ছবি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘ব্রেকিং নিউজ । রক্তাক্ত ঢাকার মিরনজিল্লা হরিজন পল্লী । ঢাকার বংশাল মিরনজিল্লা হরিজন পল্লীতে পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর শেষ কোথায় ? বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।’ তবে এখনো পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর মাস্টারমাইন্ড আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর মুহাম্মদ আউয়াল হোসেন বা কোনো দাঙ্গাকারীর গ্রেফতারির খবর নেই ।।