এইদিন ওয়েবডেস্ক,১৫ ডিসেম্বর : কোনো নতুন ছবি মুক্তির আগে শাহরুখ খানের মত বলিউড অভিনেতাদের বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করতে দেখা যায় । ভারতে অগনিত মসজিদ আছে,কিন্তু মসজিদে গিয়ে পারতপক্ষে তাদের ছবির সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করতে দেখা যায় না । কিন্তু মুসলিম অভিনেতারা কেন মসজিদ এড়িয়ে যান ? দেশের সংখ্যাগুরু হিন্দু চলচিত্রপ্রেমী দর্শকদের মন জয়, নাকি এর পিছনে আছে অন্য কারন ?
একই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন । বৃহস্পতিবার নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে তসলিমা লিখেছেন,’এমনকি মুসলিম অভিনেতারাও তাদের ছবি মুক্তির আগে মন্দিরে প্রার্থনা করতে যান। কেন তারা তাদের চলচ্চিত্রের সাফল্যের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে মসজিদে যায় না? এর কারণ কি আল্লাহ চলচ্চিত্র, গান, নাচ ইত্যাদি অপছন্দ করেন ?’
লেখিকার এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় জনৈক রাজীব সুদ নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন,’তারা হিন্দু ঈশ্বরের আশীর্বাদ চাইছেন না। তারা হিন্দু ভক্তদের আশীর্বাদ চাইছেন। আসুন সেই নিষ্পাপ ম্যাম তসলিমা নাসরিন জি না হই ।’
গোবিন্দম লিখেছেন,’এটা সহজ. হিন্দুরা নগদ গরু, এবং অভিনেতারা জানেন যে লাভজনক হওয়ার জন্য তাদের হিন্দু দর্শকদের প্রয়োজন। যাই হোক, সিনেমা দেখা ইসলামে হারাম ।’
বিশ্বনাথ নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন,’এটা ইসলামফোবিয়া! ইসলাম শান্তির ধর্ম। মুসলমানরা যেখানেই যান সেখানেই তাদের সম্মান ও স্বাগত জানানো হয়। সবথেকে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি মুসলমানদের কারনেই হয়েছে।’
ভারত গোপু লিখেছেন,’এমন অভিনেতাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া শুনেছেন কখনো?মাওলানা-মৌলবীদের কাছ থেকে একটি কথাও নেই।’
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি ‘ডাঙ্কি’ ছবি মুক্তির আগে মেয়ে সুহানার সঙ্গে শিরডি-র বিখ্যাত সাঁই বাবার মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে দেখা গিয়েছিল অভিনেতা শাহরুখ খানকে । এর আগে শাহরুখ খান তাঁর বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘জওয়ান’ মুক্তির আগে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন । এছাড়া সঈফ আলি খান ও অমৃতা সিং কন্যা সারা আলি খানকে প্রায়ই বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করতে দেখা যায় ।।