এইদিন ওয়েবডেস্ক,মরিগাঁও,২৯ সেপ্টেম্বর : বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় এক তরুনী । এনিয়ে থানায় নিখোঁজ ডাইরিও করে পরিবার । এদিকে মেয়েটিকে উদভ্রান্তের মত রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় এক মুসলিম মহিলা । দীর্ঘ দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে বন্দি রেখে ওই মহিলা একাধিক পুরুষকে দিয়ে গনধর্ষণ করাতো । অবশেষে নির্যাতিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ । আসামের মরিগাঁও জেলার ভুরাগাঁওয়ের ঘটনা । এই ঘটনায় মুর্শিদা বেগম নামে ওই মহিলা ও তার দুই পুরুষ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মহিলা কবুল করেছে যে তার বাড়িতে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের সাথে দুই থেকে তিনজন জড়িত ছিল ।
মরিগাঁও-এর এএসপি সমীরণ বৈশ্য এএনআইকে বলেছেন,নিখোঁজ প্রতিবেদনটি গত ৮ সেপ্টেম্বর মরিগাঁও থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং ২২ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতাকে উদ্ধার করা হয় । প্রায় ১২ থেকে ১৩ দিন ধরে অভিযুক্ত মুর্শিদা বেগম তার বাড়িতে নির্যাতিতাকে আটকে রেখেছিল, যেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল । মুর্শিদা বেগমকে আমরা প্রথমে গ্রেপ্তার করি । তাকে জেরায় জানা যায় যে এই ঘটনায় ২ থেকে ৩ জন জড়িত ছিল এবং আমরা সেই অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা তাদের আদালতে হাজির করেছি, এবং এখন তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।’ তিনি আরও জানান তদন্তে জানা গেছে যে নির্যাতিতাকে ওই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি দ্বারা শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল, এবং আমরা অন্য অভিযুক্তদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি ।।