এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২২ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার চেঁচুড়ি গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি মিন্টু শেখকে বোমা ছুড়ে ও কুপিয়ে খুনের ঘটনায় দিল্লি থেকে ধৃত মুর্শেদ শেখ ও তার দাদা আসরফ শেখকে আজ শনিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হল । বিচারক তাদের তিনদিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ ওই খুনের মামলায় অভিযুক্ত তাদের বাবা রহম শেখও। যদিও সে মহারাষ্ট্রে থাকাকালীন দিন দশেক আগে বার্ধক্যজনিত রোগে মারা গেছে বলে জানা গেছে ।
গত বছরের ১২ই মে রাতে ভোটের প্রচারের কাজ সেরে বাইকে চড়ে দলীয় কর্মী মিশির শেখ ওরফে নজরুল ইসলামকে নিজের বাইকে চাপিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কেতুগ্রামের আনখোনা অঞ্চলের ২ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি মিন্টু শেখ দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হন । দুষ্কৃতীরা দুজনকে লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা ছোড়ে । দু’জনেই জখম হয় । জখম অবস্থাতেই মিশির পালিয়ে যেতে পারলেও মিন্টু ধরে ফেলে দুষ্কৃতীরা । এরপর তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তুহিনা খাতুন ১০ জনের বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় এফআইআর দায়ের করেন। ওই অভিযোগপত্রে অভিযুক্তদের মধ্যে নাম ছিল মুর্শেদ এবং তাঁর বাবা রহম শেখের। কিন্তু আসরফের নাম অভিযোগপত্রে না থাকলেও পরে পুলিশ তার জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার নামও আসামির তালিকায় যোগ করে ।
এদিকে গতবছর ১২ মে ওই খুনের ঘটনার পরেরদিন ভোট দিয়েই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছিল অভিযুক্ত মুর্শেদ শেখ,তাঁর দাদা আসরফ শেখ ও তাদের বাবা । দিল্লিতে গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজেও লেগে যায়। রহম শেখ মহারাষ্ট্রে গিয়ে গাঢাকা দেয় । যদিও দিল্লি পুলিশের হাতে গত মঙ্গলবার মুর্শেদ ও আসরফ ধরা পড়ে । পরে তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হয় ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী নিরুপম সেনের দাবি, ‘মুর্শেদ শেখ ও আসরফ শেখরা পরিযায়ী শ্রমিক । নিজেদের কাজ নিয়েই থাকত৷ তারা ভোট দিতে বাড়ি এসেছিল । রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে তাদের ।’ একই দাবি করেছেন মুর্শেদের স্ত্রী নাজেমা খাতুনও । তিনি জানান, তাঁদের শ্বশুর রহম শেখ মহারাষ্ট্রে থাকাকালীন দিন দশেক আগে বার্ধক্যজনিত রোগে মারা গেছেন । আর তার স্বামী ও ভাসুর নির্দোষ ।।