প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ জুলাই : সন্তান না হওয়ায় বধূকে প্রাণে মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম সুদীপা কুণ্ডু (২৩) । পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার জোকারি পাড়ায় বধূর শ্বশুর বাড়ি ।সোমবার সকালে শ্বশুর বাড়ির ঘরথেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ ।বধূর বাবার বাড়ির লোকজনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন বধূর বাবা কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ ।
বধূ সুদীপার বাবা কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের পাড়ারই যুবক মানস কুন্ডুর সঙ্গে তাঁর মেয়ে সুদীপার বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে ।বিয়ের সময়ে পাত্র পক্ষের দাবি মতো তিনি নগদ ২ লক্ষ টাকা,মোটরবাইক, বেশ কয়েক ভরি সোনার গহনা খাট,বিছানা, মোটরবাইক ও অন্য দানসামগ্রী দিয়েছিলেন ।তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজন যত ভরি সোনার গহনা দাবি করে ছিলেন ততটা তিনি দিতে পারেন নি। সেই কারণে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুদীপার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো।কৃষ্ণচন্দ্র বাবু বলেন ,সেই অত্যাচার মেনে নিয়েও সুদীপা সংসার করছিল।তারই মধ্যে আবার শুরু হয় বিয়ের পাঁচ বছর পরেও সুদীপা সন্তানের মা হতে না পারার অত্যাচার । সেই জন্যে সুদীপাকে প্রাণে মেরে দেওয়ারও হুমকিও দেওয়া হত বলে কৃষ্ণচন্দ্রবাবু অভিযোগ করেছেন।
এদিন সকালে সুদীপার বাবার বাড়িতে ফোন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানায় সুদীপা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্মঘাতী হয়েছে ।
সেই খবর পেয়ে বধূর বাবার বাড়ির লোকজন
জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখেন সেখানে সুদীপা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেয়েকে
মৃত অবস্থায় দেখেই কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ অভিযোগ করেন ,তাঁর মেয়েকে প্রাণে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এমনটা দাবি করে কৃষ্ণচন্দ্র বাবু এদিনই মন্তেশ্বর থানাতে লিখিত অভিযোগ জানান । অভিযোগ জমা পড়ার কথা জানতে পেরেই গা ঢাকা দেয় বধূর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন । কালনায় এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,“বধূ মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে ।তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।’।